গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটে কত কয়েক মাসে বেড়েছে চুরি,ছিনতাই,মাদকের প্রকোপ।নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ জনগন সহ জনপ্রতিনিধিরা। ১২ অক্টোবর রাত্রি সাড়ে বারটার দিকে ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ কোন যানবহন না পেয়ে এক সঙ্গী সহ হেটে ধাপেরহাট থেকে নিজবাড়ী ছাইগাড়ী গ্রামে ফিরছিলেন। তিনি রহমান কারীগরী স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন জায়গায় পৌঁছা মাত্র ছিনতাইকারী তাকে এটাক করতে ধরলে ভোঁদৌড়ে রক্ষা পায় প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ।পরে রাতে বাড়ির লোকজন এসে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। তিনি বলেন ৭/৮ জনের একটি ছিনতাইকারীর দল তার নিকট ও ভাতিজার নিকট থাকা টাকা ছিনতাই করার উদ্দেশ্য পথ রোধ করে।পরে দৌড়ে আমরা নিরাপদ জায়গায় এসে বাড়িতে ফোন করি। গত ১০ অক্টোবর রাত্রি সাদিপাড়া গ্রামের মৃত্যু আফান মন্ডলের পুত্র সাদা মন্ডলের বাড়িতে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়ে বাড়ি লুট করেছে দূর্বৃত্তরা। পর সকালে এলাকাবাসী বাড়ির সদর দরজা খোলা দেখে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে অচেতন অবস্থায় স্বামী স্ত্রী কে উদ্ধার করে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। এছাড়া গত কয়েকদিন পূর্বে হিংঙ্গার পাড়া গ্রাম থেকে তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে চোর। গত ৯ অক্টোবর রাত্রি ১ টার দিকে ধাপেরহাট টু আমবাগান রোডের লালমাটির ঘাটের পূর্বে বকশিগঞ্জের রাস্তায় রংপুর পীরগঞ্জের কাবিল পুর ইউনিয়নে শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত্যু বাহার আলী পুত্র মতির মিশুক অটোভ্যান ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। কেড়ে নিয়েছে যাত্রীর সর্বস্ব। ১০ অক্টোবর রাতে চাতাল ব্যবসায়ী রিপন সাহার বাড়ি চুর হয়েছে। গত ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় ধাপেরহাট চতরা রোডের বাজার মসজিদ দেয়াল ঘেঁষে সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ টায় ঘাস বিক্রেতা রংপুর জেলার পীরগন্জের কাবিলপুরের গুপিনাথপুর গ্রামের মৃত আব্বাস হোসেনের পুত্র ইসমাইল হোসেন অটোভ্যানটি রেখে বাজারে সুপারি কেনার জন্য যায় ফিরে এসে দেখে তার অটোভ্যানটি আর নাই। প্রতিনিয়ত দিনে রাতে ঘটছে চুরি, ছিনতাই ও বাড়ি চুরি, গরু চুরির মত ঘটনা। সর্বস্ব হারিয়ে অনেকে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আস্হা হারিয়েছে। সর্বস্ব হারানোর ভয়ে বিনিদ্র রজনী কাটছে গৃহস্থ পরিবারগুলোর ।চুরি ছিনতাই বাড়ি লুটের ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট সকলের আসু হস্তক্ষেপ আসা করে এলাকাবাসী। এনিয়ে গত এক মাসে উপজেলার একমাত্র ধাপেরহাট ইউনিয়ন থেকে ৪ টি গরু, ৮ টি অটোভ্যান, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ৯ টি বাসা বাড়িতে চুরি সংঘটিত হলেও পুলিশ কোন চোর কিংবা কোন ছিনতাই কারীকে গ্রেফতার করতে পারে নাই। এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় বলেন, চুরি ছিনতাই রোধে গ্রামীন রাস্তা গুলোতে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। চোর ও ছিনতাই কারী সিন্ডিকেটের সদস্যের গ্রেফতারের আমাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে।