• শিরোনাম

    সাংবাদিকরা লেখনির মাধ্যমে সমাজকে উজ্জীবিত করতে পারেন: তথ্যমন্ত্রী

    অনলাইন ডেস্ক শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১

    সাংবাদিকরা লেখনির মাধ্যমে সমাজকে উজ্জীবিত করতে পারেন: তথ্যমন্ত্রী

    apps

    নবকণ্ঠ ডেস্ক:

     

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমাজের অব্যক্তদের পক্ষে আমাদের কথা বলা দরকার। সমাজ যেদিকে তাকায় না সেদিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পারে একজন সাংবাদিক। সাংবাদিকরা ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতাবান করতে পারে, অব্যক্তদের পক্ষে কথা ব্যক্ত করতে পারে। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা লেখনির মাধ্যমে সমাজকে উজ্জীবিত করতে পারেন।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, দেশটা যে এগিয়ে যাচ্ছে সে গল্পটাও মানুষকে আমাদের জানাতে হবে। তাহলে মানুষ আরও স্বপ্ন দেখবে। দেশও স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। মানবিক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, যাকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ আখ্যা দিয়েছেন, তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। অথচ এটার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোন জোরালো দাবি ছিল না।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) এর আয়োজনে এবং মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিইউজে’র সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটু, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সমাজে এমন অনেক বিষয় আছে, সমাজ সেদিকে তাকায় না। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানো পাগলের পেছনেও কিছু একটা গল্প আছে, ফ্যাল ফ্যাল করে তাকানো মানুষটার কিছু বেদনা আছে, সেই বেদনা শোনার সময় সমাজের নাই, সমাজ তাকে জিজ্ঞেস করে না। একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সেটি অনুসন্ধান করে সমাজের সামনে তুলে ধরতে পারে।

    তিনি বলেন, সাংবাদিকরা লেখনির মাধ্যমে সমাজকে উজ্জীবিত করতে পারেন, একজন সাংবাদিকের অনেক ক্ষমতা, সেই ক্ষমতা হয়তো নিজে অনুভব করে না। একজন সাংবাদিক যার মুখে ভাষা নেই তাকে ভাষা দিতে পারে। যে কথা বলতে ভুলে গেছে কিংবা ভয় পায় তার মুখে ভাষা দিতে পারে। যে স্বপ্ন দেখতেও ভুলে গেছে, স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়, তাকে স্বপ্ন দেখাতে পারে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিআরবি চট্টগ্রামের একটি নান্দনিক ও ঐতিহাসিক জায়গা, সেটি নিয়ে চট্টগ্রামের মানুষের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ রাখার কারণে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ পদকে ভূষিত হয়েছেন। সুতরাং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোনও কাজ হবে না।

    তিনি বলেন, সিআরবিতে পরিবেশ নষ্ট হোক, গাছপালা কাটা হোক সেটি আমিও ব্যক্তিগতভাবে চাই না। সরকার জনগণের বিপক্ষে কোনো কাজ করবে না। আমিও বিষয়টি যথাযথ জায়গায় উপস্থাপন করবো।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি বহুমাত্রিক সমাজে বসবাস করি, এখানে বিতর্ক থাকবে-সমালোচনা থাকবে, কিন্তু এটির পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও করতে হয়। ভালো কাজের যদি প্রশংসা না হয় তাহলে যারা ভালো কাজ করে তারা কখনও উৎসাহ পাবে না। সরকারে থাকলে সবই যে খারাপ সেটি বিশেষ করে বিএনপিসহ কেউ কেউ মনে করে। তারা সরকারে থাকলে সব ভালো, আমরা সরকারে থাকলে সব খারাপ। দেশটা কি এমনি এমনিতে এগিয়ে গেল- প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, গত সাড়ে ১২ বছরে মানুষের যে উন্নয়ন হয়েছে তা কল্পনাতীত, আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছে এই এগিয়ে যাওয়া।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের জন্য ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনও সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবার ৩ লাখ টাকা পাচ্ছে, কেউ অসুস্থ হলেও টাকা পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে কল্যাণ ট্রাস্টে সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের পড়ালেখার ক্ষেত্রেও অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নীতিমালাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    বাংলাদেশ সময়: ৯:৩১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আজ বিজয়া দশমী

    ২৬ অক্টোবর ২০২০

    আর্কাইভ