• শিরোনাম

    শেরপুরে স্বপ্নের ঠিকানায় রাত্রিযাপন শুরু ৪০ হিজড়ার

    এনামুল হক,শেরপুরঃ মঙ্গলবার, ০৮ জুন ২০২১

    শেরপুরে স্বপ্নের ঠিকানায় রাত্রিযাপন শুরু ৪০ হিজড়ার

    শেরপুরে স্বপ্নের ঠিকানায় রাত্রিযাপন শুরু ৪০ হিজড়ার

    apps

    মহামানব,মানবতার মা,প্রিয় বোন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে স্বপ্নের ঠিকানা আবাসন প্রকল্পের নতুন ঘরে উঠলো শেরপুরের তৃতীয় লিঙ্গের ৪০ জন হিজড়া।বাসস্থানের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি তাদের বিনীত অনুরোধ।জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন,জনউদ্যোগসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি ভালোভাবে আবাসন প্রকল্পে বসবাস করতে সকল সহযোগিতা কামনা করেন তারা। ভিক্ষাবৃত্তি ও চাঁদাবাজী ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন নিয়ে কম্পিউটার,শেলাই,পার্লারের কাজসহ বিভিন্ন কাজে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন করতে চান তারা।তাদের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় তাদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ‘স্বপ্নের ঠিাকানা’ আবাসন প্রকল্প। স্বপ্নের ঠিকানা আবাসন প্রকল্পে ৪০জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের হাতে আজ ৭জুন সোমবার নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের কবিরপুর মৌজাধীন আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় ২ একর সরকারি খাসজমিতে নির্মিত হয়েছে এই স্বপ্নের ঠিকানা।

    শেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে,দুই একর জায়গায় ৬৯লাখ ৪হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী হিজড়াদের আয় বর্ধনমূলক কর্মকান্ডের জন্য থাকছে প্রায় ৪০শতক জমির ওপর একটি পুকুর,শাক-সবজি,ফসল আবাদের জন্য রাখা হয়েছে খোলা জায়গা,আত্মকর্ম প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত হচ্ছে একটি মাল্টিপারপাস কক্ষ।গুচ্ছ গ্রামের সাথেই রয়েছে ৮একর এলাকা জুড়ে একটি বিল।গুচ্ছগ্রামে নির্মিত প্রতিটি ঘরের সাথেই রয়েছে রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানাস।দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য হাড়ি-পাতিল,থাকার জন্য ২০টি বিছানা ও বিছানার চাদরের ব্যবস্থা।শেরপুর জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি সরকার গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা এই কাজটি শেষ করতে পেরে আনন্দিত।আমরা চাই তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষগুলো আমাদের সাথে বাস করে আমাদের জনশক্তিতে রুপান্তরিত হোক।কেবল জমিসহ ঘরই নয়,ওই গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে সমাজের অবহেলিত ও অপাংক্তেয় তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া জনগোষ্ঠির জীবনমান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণও প্রদান করা হবে। যাতে তারাও সমাজের মূলস্রোতে একিভূত হতে পারে।

    শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন,আমাদের সমাজে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে বাঁচার অধিকার তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষগুলোরও আছে।তারা আমাদেরই স্বজন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে আন্তরিক থেকে আমাদের কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাদের বাসস্থানের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টাও আমরা করছি। আশাকরি তাদের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে পারবো। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক(উপসচিব) এটি.এম.জিয়াউল ইসলাম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক)মুকতাদিরুল আহমেদ,শেরপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম,শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন,শেরপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা,শেরপুর জনউদ্যোগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব হাকিম বাবুল,কামারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খবির উদ্দিন,সহকারি ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা হুরমুজ আলীসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    বাংলাদেশ সময়: ৭:২৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ জুন ২০২১

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ