• শিরোনাম

    মানবিক সাহায্যই বাঁচাতে পারে ক্যন্সারে আক্রান্ত আমেনাকে

    মেহেদী হাসান সাকিব নালিতাবাড়ী (শেরপুর) সংবাদদাতা: রবিবার, ০২ অক্টোবর ২০২২

    মানবিক সাহায্যই বাঁচাতে পারে ক্যন্সারে আক্রান্ত আমেনাকে

    apps

    অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক ছেলে আর দুই মেয়ে নিয়ে জীবন-মৃত্যুর অনিশ্চয়তায় রাতে ঘুম আসে না তার, দিনেও চোখমুখে ভেসে থাকে দুঃশ্চিন্তার ছাপ। আত্মীয়-স্বজনের কাছে ঠাঁই নেই টাকা চেয়ে বসে, এ ভয়ে। ট্রাকচালক স্বামীও প্রতিনিয়ত মৃত্যু কামনা করে আপদ দূর হওয়ার। শরীর আর মন সব অঙ্গেই প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে বেদনাবিধূর এক সময় পাড় করছেন বত্রিশ বছর বয়সী তিন সন্তানের জননী আমেনা বেগম। জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত আমেনার বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের কালিনগর নয়াপাড়া মহল্লার। স্বামী হাশেম উদ্দিন পেশায় ট্রাকচালক। একসময় স্বামীর সামান্য আয় দিয়ে ভালোই চলছিল আমেনার সংসার। তিন সন্তান আর স্বামী নিয়ে অর্থের আভিজাত্য না থাকলেও ছিল ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। কিন্তু প্রায় বছরখানেক হলো তার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসার একপর্যায়ে ৯ মাস আগে ধরা পড়ে জরায়ু ক্যান্সার। ৮ মাস আগে সামর্থটুকু শেষ করে জরায়ুর অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। তবে এ অপরেশনও তাকে সুস্থতার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার ফলে চিকিৎসক পরামর্শ দেন কেমোথেরাপি দিতে। সর্বস্ব ব্যয় করে প্রায় তিন লাখ টাকায় অপারেশনসহ ইতিমধ্যেই ৬টি থেরাপি দেওয়া হয়েছে। এখন আর তাদের টাকার রথ চলে না। নিজের পুঁজি শেষ করে আত্মীয়-স্বজনের কাছেও হাত পাতা শেষ। তাই স্বজনদের কাছে গেলেও ভয়ে কেউ পাত্তা দিতে চায় না, টাকা দিতে হবে বলে। স্বামীও এখন আর হাল ধরতে পারছেন না। নিরুপায় হয়ে স্ত্রীর মৃত্যুই কামনা করেন। মরে গেলেই বেঁচে যাবেন, এমন নিষ্ঠুর বাক্যও এখন স্পষ্ট উচ্চারিত হয় মুখে। ফলে বেঁচে থাকার আর কোন পথই যেন খুঁজে পাচ্ছেন না হতভাগা এ নারী। গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় প্রেসক্লাবে এসে দুঃশ্চিন্তায় মাথা ছেড়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে নিজের কষ্টের কথাগুলো এমনভাবেই ফুটিয়ে তুলেন আমেনা। আক্ষেপ করে বলেন, ‘এখন আত্মীয়-স্বজনও আমাকে ভালোবাসে না। তারা ভয় পায়, যদি আমাকে টাকা দিতে হয়। স্বামীও বলে, আমার আর সাধ্য নেই। মরে গেলেই বেঁচে যাই। আরেকটা বিয়ে করে নতুন করে শুরু করতে পারব।’ করুণ নিবেদনের স্বরে আমেনা বলেন, ‘সামর্থবানেরা যদি আমাকে একটু সাহায্য করতেন, আমার বাকী কেমোথেরাপিগুলো দিতে সহায়তা করতেন; তবে তিনটি শিশু নিয়ে বেঁচে থাকতে পারতাম। আমি মারা গেলে তো শিশু তিনটি এতিম হয়ে যাবে। কে ওদের দেখবে, ভালোবাসবে?’ তিনি জানান, আরও থেরাপি দিতে হবে তাকে। এছাড়াও দৈনিক তিনশ টাকার ওষুধ লাগে তার। কিছুদিন হলো চতূর্থ থেরাপির সময় পার হয়ে গেছে। টাকার অভাবে দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় বিত্তবানদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। তার সাথে যোগাযোগ বা সাহায্য পাঠাতে উল্লেখিত ০১৮৬০-৬৩৬৫৭৬ বিকাশ নাম্বরটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

    বাংলাদেশ সময়: ৮:১৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০২ অক্টোবর ২০২২

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ