• শিরোনাম

    ময়মনসিংহের ধোবাউড়া গ্রামের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গ্রেফতার ২

    রুবেল, ময়মনসিংহ: মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

    ময়মনসিংহের ধোবাউড়া গ্রামের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গ্রেফতার ২

    apps

    ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানার কালসিন্ধুর গ্রামের এগারো বছর বয়সের শিশুকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

    মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    গ্রেফতার আসামিরা হলেন- ধোবাউড়া থানার কালসিন্ধুর (মাইমলপাড়া) গ্রামের মো: ইস্রাফিল আলীর ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২০) ও অপর জন শিশু হওয়ায় আইন গত কারণে নাম প্রকাশ করেনি।

    সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান, ময়মনসিংহ ধোবাউড়া থানার কালসিন্ধুর গ্রামের খোকন মিয়ার মেয়ে নুসরাত জাহান মীম (১১) গত শনিবার ১৮ মার্চ সন্ধায় বাড়ি থেকে বাহির হয়ে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা চারদিকে খোঁজাখুজি করতে থাকে।খোঁজাখুজি করাকালে আনুমানিক রাত ১০.২৫ মিনিটে বাড়ির পার্শ্ববর্তী নেতাই নদীতে নুসরাত জাহান মীম(১১) এর লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।ধোবাউড়া থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়।সুরতহাল কালে নুসরাত জাহান মীম(১১) এর যৌনাঙ্গ ও শরীরের স্পর্শকাতর অন্যান্য অঙ্গে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত জখম ও জোড়পুর্বক গণধর্ষণের চিহ্ন পায়।মীমের লাশে অন্যান্য চিহ্ন ও আলামতের উপস্তিতি দেখে প্রাথমিক ভাবে গণধর্ষণের ফলে হত্যা বলে প্রতিয়মান হয়।মীমের বাবা মো: খোকন মিয়া অজ্ঞাতনামা ধর্ষক ও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ধোবাউড়া থানায় অভিযোগ মামলা করেন।
    পরে তদন্ত শেষে হত্যা রহস্য উন্মোচন করে পুলিশ এবং জড়িতদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।

    পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতার আসামিরা কালসিন্ধুর সহ আশপাশের এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের ইভটিজিং করতো বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।গ্রেফতারকৃত ইউসুফ কে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, আটককৃত শিশু তার ঘনিষ্ঠ সহচর।যৌন কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে ১৮ মার্চ সন্ধায় নুসরাত জাহান মীম এর বাড়ির পার্শ্ববর্তী স্থানে অন্ধকারে অপেক্ষায় থাকে।মীম বাড়ি থেকে বের হলে ইউসুফ ও আটককৃত শিশুটি নুসরাতের মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বাড়ির পার্শ্ববর্তী কলা বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।ধর্ষণ শেষে ১৮ মার্চ আনুমানিক রাত ৭ টা ৪৫ মিনিটে মীমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিকটবর্তী নেতাই নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিয়ে ইউসুফ ও শিশুটি পালিয়ে যায়।গ্রেফতারকৃত আসামি ইউসুফ ও শিশুটি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

    বাংলাদেশ সময়: ৯:২৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ