• শিরোনাম

    ভূয়া সার্টিফিকেটধারী সরকারি চাকুরীজীবি সংসার করা হলোনা শেরপুরের মেয়ে শাহিদার

    এনামুল হক,শেরপুরঃ শনিবার, ২১ মে ২০২২

    ভূয়া সার্টিফিকেটধারী সরকারি চাকুরীজীবি সংসার করা হলোনা শেরপুরের মেয়ে শাহিদার

    apps

    ভূয়া সার্টিফিকেটধারী সরকারি চাকুরীজীবির সংসার করা হলোনা শেরপুরের মেয়ের মোছাঃ শাহিদা আক্তারের।২০১৫ সালে পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে হয়েছিল রবিউল ইসলাম (ছানু) নামধারী সরকারি চাকুরীজীবির সাথে যার পিতা-মোঃ মানিক মিয়া, মাতা-মোছাঃ ছফুরা বেগম, ডেঙ্গারগর, শ্রীরামপুর, জামালপুর এর সাথে।যার নিকাহ্ নামা,বাংলাদেশ ফরম নং-১৬০১ (ফরম’ঘ’) বহি নং-৪ ক্রমিক নং-১০৮ তাং ১৫/১১/২০১৫ ইং।নেপথ্যে স্বামীর জালিয়াতি সম্পর্কে অবগত হলে ২০২১ সালে শশুর বাড়িতে নিজের বউ ও একমাত্র ছেলেকে কৌশলে রেখে গিয়ে গোপনে তালাক দেন ভূয়া চাকুরীজীবি স্বামী। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানাযায়,জামালপুর সদর উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের ছানোয়ার হোসেন ভুয়া সনদ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে টাকা বিনিময়ে সরকারি চাকুরী হাতিয়ে নিয়েছে।ভূয়া সনদেই দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে সে চাকরি করছে। অভিযুক্ত ওই সরকারি চাকুরী জীবির পরিচয় মোঃ ছানোয়ার হোসেন।সে জামালপুর উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ডেঙ্গারগর গ্রামের মোঃ মানিক মিয়া এর পালিত ছেলে। পালিত মায়ের নাম ছফুরা বেগম।প্রকৃত পক্ষে ছানোয়ার হোসেনের জন্মস্থান ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছায়। তার জন্ম দাতা পিতার নাম আব্দুর রহমান এবং মাতার নাম আনোয়ারা বেগম।পালিত বাবা-মা তার সম্পর্কে খালা খালু।মোঃ ছানোয়ার হোসেন পালিত বাবা-মার সাথে তাদের পরিচয়ে বড় হয়েছেন।সে ২০১৪ সালে শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শাখায় ২.৮১ পয়েন্ট পেয়ে এস.এস.সি পাশ করেন।যার রোল নং-৫৩১৯৪৬ রেজিঃ নং ১১১০২৮৪৬৭৬ এবং জন্ম তারিখ-২৪/০৮/১৯৯৮ইং।এব্যাপারে শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলম খান বলেন,ছানোয়ার হোসেন আমার বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত পরীক্ষা দিয়ে ২০১৪ সালে বানিজ্য বিভাগে এস.এস.সি পাস করেন।ব্যাক্তিগত ভাবে সে আমার পরিচিত। কিন্তু নিজের পরিচয় গোপন করে ২০১৫ সালে ছানোয়ার হোসেন হয়ে যায় রবিউল ইসলাম।যাহাতে তার পিতা-মোঃ আঃ হামিদ এবং মাতার নাম রোকেয়া বেগম।যার বর্তমান ঠিকানাঃ- গ্রামঃ কিসমত জাল্লা, পোঃ ইসলামপুর, উপজেলাঃ ইসলামপুর, জেলাঃ জামালপুর।জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর-৬৪৫৫০৪৮৯৫৬ জন্ম তারিখঃ ০৪/০৮/১৯৯২ ইং স্থায়ী ঠিকানাঃ পলাশ বাড়ী, উপজেলাঃ নীলফামারী সদর, জেলাঃ নীলফামারী।উক্ত পরিচয়ে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধান কালে একই নামে ও ঠিকানায় দু”জনের তথ্য পাওয়া যায়।যেখানে ০৯১৭নং ক্রমিকে ভোটার নং ৩৯০৩৭৭০০০৮৩৮ এবং একই পৃষ্ঠায় ০৯২৪নং ক্রমিকে ভোটার নং ৩৯০৩৭৭০০০৮৫২উভয়ের নাম,পিতা ও মাতার নাম একই শুধুমাত্র পেশা ভিন্ন।কিন্তু তাদের সরেজমিনে কোন অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায় নি।কিসমত জাল্লা গ্রামের স্থানীয় কোন লোক কখনো উক্ত পরিচয়ের কাউকে দেখেনি।এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাচন কমিশনার মোঃ মোক্তার হোসেন বলেন,একই নাম ঠিকানায় কিভাবে দুজনের ভোটার নিবন্ধন হল বিষয়টি আমি জানতে পারলাম দ্রুতই এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। উক্ত পরিচয়ে ভূয়া সনদ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে দালাল চক্রের মাধ্যমে ৭ অক্টোবর-২০১৫ সালে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে অফিস সহায়ক পদে রবিউল ইসলামের স্থলে নিয়োগ পান ছানোয়ার হোসেন।বর্তমানে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর,গাজীপুরে চাকুরী করছেন তিনি।ভূয়া সনদে মাত্র সাত বছর চাকুরী জীবনে রহস্যজনক ভাবে হয়েছে কোটিপতি।দারিদ্রের কষাঘাত জয় করে ডেংঙ্গারগরে বানিয়েছেন বিলাশ বহুল বাড়ি।নামে-বেনামে ক্রয় করছে কোটি টাকার সম্পত্তি।এ ব্যাপারে শরীফপুর ইউনিয়নের ডেঙ্গারগড় গ্রামের স্থানীয় লোকজনসহ ও বতর্মান ইউপি সদস্য মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, ছানোয়ার হোসেন ছানু ডেঙ্গারগড়ের মানিক মিয়ার পালিত ছেলে।সে ভালো একটা সরকারি চাকুরী করে।তার পরিবারের সবাই গ্রামেই থাকে। ব্যাক্তিগত ভাবে তারা আমার পরিচিত।তার আর কোন নাম আছে বলে আমার জানা নেই। উক্ত জালিয়াতি সহ অভিযোগের বিষয়টি ছানোয়ার হোসেন নিজে স্বীকার করেন।তিনি বলেন,আমি গরীব ঘরের সন্তান।আমি একা এখানে আসতে পারিনি।আমার সম্পর্কে নানা,যার নাম ওয়াহেদ সরকার।সে সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমাকে এ চাকুরী নিয়ে দিয়েছেন।কিন্ত আমি চাকুরীতে যোগদান করার পর আমাকে বলা হয়েছে আজ থেকে তুমি রবিউল ইসলাম।এর পর আমার আর কি করার আছে।আমি আমার দোষ স্বীকার করছি, যে কোন শাস্তি আমি মেনে নিবো কিন্তু যারা আমাকে এখানে আনছে তাদের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।আমার মত ভূয়া চাকুরী ওয়াহেদ সরকার তার এক ছেলে দুই মেয়ে সহ অনতত পক্ষে ত্রিশ জনকে দিয়েছে।সকলের বিচার আমি কামনা করছি। অপরদিকে ছানোয়ার হোসেনের জাল-জালিয়াতি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করেছেন শেরপুরের মেয়ে শাহিদা আক্তার।অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

    বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২১ মে ২০২২

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ