• শিরোনাম

    বিআরডিবির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিদের পেনশন স্থগিত: মানবেতর দিনযাপন

    স্টাফ রিপোর্টার: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

    apps

    বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) অবসরপ্রাপ্ত শতাধিক কর্মচারি পেনশনসহ চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অবসর গ্রহণের পর সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় থেকে এসব কর্মচারি পেনশনসহ অন্যান্য ভাতা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে হঠাৎ তা বন্ধ হওয়ায় চরম অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছেন তাঁরা। তবে বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ বলছে, চাকরি শেষে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী কর্মচারিদের মাসিক পেনশনসহ অন্যান্য ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী কর্মচারিদের অভিযোগ, রাজস্বখাতভুক্ত কর্মচারি হিসেবে বাংলাদেশ গেজেট (অতিরিক্ত সংখ্যা) জুন ২৯, ১৯৯৬ মোতাবেক সরকারের অনুমোদনক্রমে তাঁরা এতোদিন পেনশন সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। গেজেটের প্রবিধানমালা ২৬-এ বলা হয়, ‘অবসরজনিত সুবিধাদি সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে প্রবিধানমালায় পর্যাপ্ত বিধান না থাকলে উক্ত বিষয়ে সরকারি কর্মচারিগণের প্রযোজ্য বিধিমালা, আদেশ, নির্দেশ ও নিয়মাবলী অনুসরণ করা হবে’। এছাড়া ২০১৮ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে (নং- ০৭-০০-০০০০-১৭১-১৩-০১ ৩-১৪-১১৮, তারিখ : ৮ অক্টোবর, ২০১৮) বলা হয়েছে, ‘আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণার্থে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিগণের অবসর গ্রহণের তারিখ হতে ১৫ বছর সময় অতিক্রান্তের পর তাঁদের পেনশন পুন:স্থাপন করা হবে’। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিআরডিবির রাজস্বখাতভুক্ত কর্মচারি হিসেবে অবসর গ্রহণের ১৫ বছর উত্তীর্ণ হওয়ায় (স্মারক নং- ৪৬৮০, তারিখ ০৫/০৫/ ২০১৯ ইং) মোতাবেক ওইসব কর্মচারিকে মাসিক পেনশন প্রদানে প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়। এই আদেশ ০১.০৭.২০১৭ তারিখ হতে কার্যকর হয় এবং তখন থেকে অবসরপ্রাপ্ত (অবসর গ্রহণের ১৫ বছর উত্তির্ণ) কর্মচারিরা নিয়মিত পেনশন ও অন্যান্য ভাতা পেতে থাকেন।

    কিন্তু বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ এক আদেশে (স্মারক নং- ১০৯৫, তারিখ ০৩.০২.২০২১ ইং) গত জানুয়ারি থেকে পেনশন ও ভাতা স্থগিত করে। প্রসঙ্গত, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একই প্রজ্ঞাপনের আওতায় (তারিখ : ৮ অক্টোবর, ২০১৮) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিসিএসআইআর, রাজউকসহ সমপর্যায়ের সংস্থাগুলোর কর্মচারীরা নিয়মিত মাসিক পেনশন ও ভাতাদি পাচ্ছেন। জানতে চাইলে ভুক্তভোগীদের একজন মাজহারুল ইসলাম (ফোন : ০১৫৫২৪১০৩০০), বলেন, তাঁদের বয়স এখন ৭৫ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে।

    আবার অনেকের ৮০ বছর পেরিয়েছে। কেউ-ই আর বেশি দিন বাঁচবেন না। এছাড়া তাঁরা প্রত্যেকেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। জীবনের একেবারে শেষপ্রান্তে এসে সরকারি সুবিধাবঞ্চিত হয়ে তাঁরা চরম মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেন তাঁরা। ভুক্তভোগী এম এ করিম (ফোন: ০১৭৪৭২২১৩৪৩) বলেন, এ বিষয়ে তাঁরা ইতোপূর্বে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি। তাই সংসদীয় স্থায়ী কমিটির শরণাপন্ন হয়েছেন। কারণ সংসদ সদস্যরা সরাসরি জনগণের প্রতিনিধি। তাঁরা আমাদের দু:খকষ্ট বুঝবেন। তাঁদের মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সহানুভুতি কামনা করছি।

    বাংলাদেশ সময়: ১:৫০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ