• শিরোনাম

    বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ( ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ, ২৫শে মার্চ, ২৬ মার্চ) যেন একসুতায় গাঁথা- শেখ বজলুর রহমান

    নারগিস পারভীনঃ রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

    বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ( ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ, ২৫শে মার্চ, ২৬ মার্চ) যেন একসুতায় গাঁথা- শেখ বজলুর রহমান

    apps

    ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষে সমগ্র দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সংগ্রমী সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গৌরব উজ্জ্বল বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭১ইং সালের মার্চ মাসের গুরুত্ব নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎ কারে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ( ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ, ২৫শে মার্চ, ২৬ মার্চ) যেন একসুতায় গাঁথা। ৭ই মার্চের সেই জ্বালাময়ী ভাষনে বাঙালি স্বাধীনতার উন্মাদে মেতে উঠেছিল সেই স্বাধীন দেশে দীর্ঘসময় প্রচার নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবরে ইউনেস্কো ৭ মার্চের ভাষণকে “ডকুমেন্টারি হেরিটেজ” (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন বলে আজ বাঙালি জাতি গর্ভিত। মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এই মাসের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে, তিনি বাঙালি জাতির হাল না ধরলে হয়তো আমরা স্বাধীনতার স্বাধ পেতাম না।১৯২০ সালের গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া সেই ছোট্ট খোকার জন্ম দিন, ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে সারা বিশ্বে আজ জাতীয় শিশু দিবস হিসাবে উদযাপন করে। সৈয়দ শামসুল হক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখেছিলেন- ‘যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয়কণ্ঠ শৌর্য আর অমিত সাহস টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে আমাদের গ্রামগুলো তোমার সাহস নেবে, নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা’। অন্যায় ও জুলুম-শোষণের বিরুদ্ধে দেশের ও দেশের মানুষের জন্য লড়াই সংগ্রাম এবং গঠনমূলক রাজনীতি করতে কারাবরণ করেছেন বহুবার এবং রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অসীম সাহসীকতায়। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮ তে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভুথ্থান, আগরতলা মামলায় জড়ানো এবং ৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় সববিষয়কে সাহস ও শক্তি হিসেবে নিয়ে ১০ লক্ষাধিক সংগ্রামী মানুষের সামনে পশ্চিম পাকিস্তানিদের হয়রানি, জুলুম ও শোষণ এবং কামান-বন্দুক-মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই দিন বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন—‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’। যা সত্যিই বাঙালি জাতির চিরন্তন অনুপ্রেরণা। যা আজও বাঙালি জাতির রক্তকে শিহরিত করে এবং ওই ভাষণের ১৮ দিন পর ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা শহরে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধ ঘোষণা করেন পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। ২৫ শে মার্চের সেই কালো রাতে রক্ত রঞ্জিত ঢাকার রাজপথকে স্বরনে বাঙালি গনহত্যা দিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে (কাল রাত) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে।মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত বাঙালি জাতি ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে এবং বাংলাদেশ নামের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পায়, যার সুফল জনগণ ভোগ করছে। তাই ২৬ মার্চ তারিখকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হয় অত্যান্ত ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে। মার্চ মাস মানেই বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের ও অভ্যূদ্বয়ের মাস। বাঙালি জাতির রুপকার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

    বাংলাদেশ সময়: ১২:১৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আজ বিজয়া দশমী

    ২৬ অক্টোবর ২০২০

    আর্কাইভ