• শিরোনাম

    বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সমৃদ্ধ দেশ গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ- এস এম মান্নান কচি

     নারগিস পারভীনঃ মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

    বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সমৃদ্ধ দেশ গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ- এস এম মান্নান কচি

    apps

    ১৭ মে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরই আওয়ামী লীগ ও তাঁর সহযোগী অঙ্গ সংগঠন সহ সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেন প্রতিবছরই। নবউদ্যামে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই দিনটি উদযাপনের আয়োজন করেন। একান্ত সাক্ষাৎ কারে দিনটির তাৎপর্য ও স্মৃতিস্বরনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দশক: বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধারে ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স্বপরিবারের হত্যাকাণ্ডে, ১৯৭৫ সালে দুই সন্তানসহ স্বামীর কর্মস্থল জার্মানিতে অবস্থানের ফলে খুনিদের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা। তৎকালীন সময়ে পশ্চিম জার্মানি থেকে ভারত সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন শেখ হাসিনার স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়া এবং শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, ওয়াজেদ মিয়া এবং তাদের দুই সন্তান ভারতে রাজনৈতিক ভাবে আশ্রয় পান, দিল্লীতে পৌছার দুই সপ্তাহ পর ওয়াজেদ মিয়া এবং শেখ হাসিনা ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বাসায় যান এবং সেখানেই শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের পুরো ঘটনা জানতে পারেন। তিনি ভারতে অবস্থান কালে তাঁদের খোঁজখবর নিতে বিভিন্ন সময়ে দিল্লিতে যান আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিতে রাজি করানো। পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচন করা হয়। দেশের গণতন্ত্র আর প্রগতিশীলতার রাজনীতি ফেরাতে রাতে দুই শিশুসন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াদেজ পুতুলকে ছোটবোন শেখ রেহানার কাছে রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে, বিকেল সাড়ে চারটায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজে বাংলার মাটিতে ফিরেন কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে কালবৈশাখীর দুর্যোগ উপেক্ষা করে প্রিয় নেতৃীকে স্বাগত জানায়, স্বাধীনতার অমর স্লোগান “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” ধ্বনিতে প্রকম্পিত জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘পিতৃহত্যার বদলা নিতে/লক্ষ ভাই বেঁচে আছে, শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।’ দেশের মাটিতে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ জনতার সংবর্ধনায় আপ্লুত শেখ হাসিনা সেদিন বলেছিলেন, “সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, “আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। “আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।” আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই।” বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই’। ১৯৮১ সালের ১৭ মে তার দুঃসাহসী সিদ্ধান্তের কারণেই আওয়ামী লীগ আজ দল হিসেবে অনেক বেশি শক্তিশালী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দলটি আজ তার নেতৃত্বে সামরিক শাসনের স্মৃতি পেছনে ফেলে দেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন। তাঁর দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে, জাতি হিসেবে বাঙালিকে এবং দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক ভিন্ন উচ্চতায়। আপনি দীর্ঘজীবী হোন হে মহান নেত্রী। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এই হোক সবার কামনা।

    বাংলাদেশ সময়: ১:১৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আজ বিজয়া দশমী

    ২৬ অক্টোবর ২০২০

    আর্কাইভ