| বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০ | প্রিন্ট
নূরুদ্দীন দরজী:
বিশ্ব মানচিত্রে ঠিক মধ্য খানে পৃথিবীর এক উঞ্চতম দেশ জাজিরা তুল আরব। মরুভূমি আর পাহাড়ে পাহাড়ে পরিপূর্ণ। দেশের পশ্চিমে ভূমধ্য ও লোহিত সাগর, পূর্বে পারস্য উপসাগর, দক্ষিণে ভারত ও আরব মহাসাগর এবং উত্তরে সিরিয়ার মরুভূমি। সে দেশের প্রধান শহর ছিল মাত্র তিনটি-মক্কা, মদিনা ও আঙুরের ভরা তায়েফ। মক্কা শহরের মধ্যে অবস্থিত আরব জাতির প্রাচীন মসজিদ পবিত্র কাবা শরীফ এবং তার পাশেই জমজম পানির ফোয়ারা। মক্কায় অনেক গোত্রের মানুষের বসবাস ছিল -তাদের মধ্যে শক্তিশালী ছিল কোরেশ বংশ। এ বংশেই মহান আল্লাহ প্রেরণ করেছিলেন পৃথিবীর সেরা আলোকিত মানব মুহম্মদ (সঃ)কে। কিন্তু খুবই দুঃখজনক যে কোরেশরা ছিল মূর্তি পূজারী। হজরত ইব্রাহিম (আঃ) পবিত্র কাবাকে যে উচ্চ মর্যাদায় এনেছিলেন তারা তা বিনষ্ট করে ফেলে। তাদের অত্যাচার অবিচার চরম সীমায় পৌছে। এ অবস্থার অবসান কল্পে এবং নির্যাতিত মানুষের মুক্তির দূত হিসেবে তাঁকে পাঠানো হয়। পরিতাপের বিষয় যে, মায়ের উদরে থাকা অবস্থা য়ই পিতা আবদুল্লাহ সিরিয়া থেকেই বানিজ্য করে ফেরার পথে মৃত্যু বরণ করেন। যথা সময়ে আল্লাহর প্রিয় বান্দার জন্ম হলে তাঁর লালন পালনের দায়িত্ব পান ধাত্রী মাতা হালিমা। সামান্য কদিন পর মাকে নিয়ে নানা বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে ফেরার পথে মা আমেনা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুব কোলে ঢলে পড়েন। বালক মুহম্মদ (সঃ)আশ্রয় পান দাদা মুত্তালিবের। কিন্তু বিধি এবার ও বাম হলে দাদা ও ইন্তেকাল করেন। অনেক চাচার মধ্যে আব তালিব অসহায় ভাতিজার দায়িত্ব গ্ৰহণ করেন। হজরত মুহম্মদ (সঃ) দুঃখ কষ্টের মধ্যে বড় হতে হতে যখন ২৫ বছর বয়স তখন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী বিধবা মহিলা খাদিজার ব্যবসায়ে যোগদান করেন। বিবি খাদিজা তাঁর সততায় মুগ্ধ হয়ে পুরো বানিজ্য ভার অপর্ণ করেন। কিছু দিন যেতেই খাদিজা হজরতের প্রতি অনুরাগী হয়ে বিবাহের প্রস্তাব দিলে কোন এক শুভ দিনে তাঁদের বিবাহ হয়। এমন চলতে চলতে মুহম্মদ (সঃ) এর বয়স যখন চল্লিশ আল্লাহ তাঁকে যে কারণে পৃথিবীতে এনেছেন তা শুরু হয়ে যায়। মক্কার সন্নিকটে হেরা পর্বতে ধ্যান করানোর ব্যবস্থা করে জিবরাঈল (আঃ)কে বার বার পাঠান। একদিন জিবরাঈল আল্লাহর বাণী,-ইকরা’ শব্দটি উচ্চারণ করে পড়তে বলেন। এভাবেই বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে মুহম্মদ (সঃ) এর উপর শুরু হয়ে যায় কোরআন নাজিল। শুরু হয়ে যায় শান্তির ধর্ম ইসলামের নতুন অমর যাত্রা। হজরত আল্লাহর বাণীর দাওয়াত নিয়ে মানুষের কাছে যেতে আরম্ভ করেন। প্রথম দিকে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। সর্ব প্রথম বিবি খাদিজা (রাঃ) ইসলাম গ্ৰহণ করেন। অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রথম ইসলাম গ্ৰহণকারী একজন মহিলা। তাঁর পর ইসলামের পতাকাতলে আসেন হজরত আবু বকর (রাঃ),পরে হজরত আলী (রাঃ) এবং ক্রমান্বয়ে কিছু কিছু দরিদ্র দাস দাসী। কিন্তু কোরেশরা নও মুসলিমদের ভাল চোখে দেখতো না এবং তাদের উপর অত্যধিক অত্যাচার করতে থাকে। আল্লাহর নবী শত সহস্র নির্যাতন সহ্য করেও দাওয়াত নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। একবার তিনি তখনকার মক্কায় বিপদ সংকেত জানানোর প্রথা অনুযায়ী সাফা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে বললেন,’শয়তান মানুষকে ধ্বংস করার জন্য ঘিরে ফেলেছে, মূর্তি পূজা ছেড়ে আল্লাহর পথে আসুন’। সাধারণ মানুষ তাঁর কথা বিশ্বাস করলে ও কোরেশরা এমনটি করার প্রতিশোধ নেওয়ার সংকল্প করে। কিন্তু দাওয়াত নিয়ে নবী অনেক এগিয়ে যান। তাঁর নাম চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সে অবস্থায় কোরেশরা হজরত বেলাল সহ নও মুসলিমদের উপর প্রচন্ড নির্যাতন চালিয়ে যায়। অত্যাচারীদের মধ্যে ছিল আবু জেহেল,আবু লাহাব ,আবু সুফিয়ান ও তার স্ত্রী হিন্দা। মুহম্মদ (সঃ) এর অগ্ৰযাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যায়। হজ্বের সময় সব রকম মারামারি নিষিদ্ধ থাকায় আল্লাহ নবী আমাদের প্রিয় রসুল (সঃ) ইয়াসিরবাসী অনেককে ইসলামে দীক্ষিত করে ফেলেন। ইয়াসির বাসী তাওরাত কিতাব পাঠ করে পূর্বেই জেনে ছিল আল্লাহ দুনিয়াতে শেষবারের মতো একজন পয়গম্বর পাঠাবেন। উল্লেখ্য যে, ইয়াসিরের বর্তমান নামই মদিনা। ইয়াসির বাসীরা মুহম্মদ (সঃ)কে মক্কা ছেড়ে মদিনায় যেতে আমন্ত্রণ জানায়। কয়েকটি শর্তে হজরত রাজী হয়ে যান। একথা শুনে কোরেশরা চিন্তিত হয়ে পড়ে-মুহম্মদ (স্ঃ) মক্কা ছেড়ে গেলে সমগ্ৰ আরব জাহানে ইসলাম পৌঁছে যাবে। অন্য কোন উপায় না পেয়ে শত্রুরা তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু জিবরাঈলের মাধ্যমে আল্লাহর নবী তা জেনে যান। সত্বর কৌশলে মদিনার পথে বের হয়ে পড়েন। একমাত্র সাথী হজরত আবু বকর। শত্রুরা পিছু নেওয়ায় পথে সত্তর পর্বতের গুহায় তারা আশ্রয় নেন। অনেক খুজাখুজি করেও শত্রুরা ব্যর্থ হয়। সর্তকতায় চলতে চলতে ৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ সেপ্টেম্বর এক শুভ দিনে তারা মদিনার উপকন্ঠে এসে উপস্থিত হন। মদিনা বাসী নবীকে স্বাগত জানিয়ে বিরাট মিছিল বের করে। মিছিলের অগ্ৰভাগে প্রিয় উট,’আল কাসোয়ায় ‘বসা অবস্থায় যেখানে এসে উট থেমে যায় -সেখানেই খেজুর পাতা দিয়ে একটি মসজিদ ও একটি কুটির নির্মিত হয়। আজকের মুসলমানদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মসজিদুনবী সেদিনের খেজুর পাতারই প্রথম মসজিদ।
শুরু হয় আল্লাহর নবীর মদিনার জীবন। প্রথমই তিনি মদিনায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। সব গোত্র থেকে ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে। কিন্তু কিছু শত্রু থেকেই যায়। ইহুদি ও মুনাফিকদের নিয়ে তারা দল ভারী করে। এ মুহূর্তে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আল্লাহ নবীকে অনুমতি দেন জিবরাঈলের মাধ্যমে।প্রথম যুদ্ধ বাঁধে বদর প্রান্তে। ১০০০শত্রুর বিরুদ্ধে মাত্র ১১৩ জন নিয়ে মুসলিম বাহিনীর জয় হয়। চির শত্রু আবু জেহেল সহ ৭১ জন শত্রু মারা যায়। মুসলমানদের সাহস অনেক বেড়ে যায়। সর্বত্র ইসলামের বিজয় ডংকা ছড়িয়ে পড়ে। অন্য দিকে বদর যুদ্ধে যারা পরাজিত হয়েছিল পুনরায় তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। আবু জেহেলের ছেলে ইকরামা ও আবু সুফিয়ান মদিনার কাছে ওহোদে বাহিনী নিয়ে এলে ২য় যুদ্ধ বেঁধে যায়। এ যুদ্ধে ও মুসলমানদেরই জয় হয়। কিন্তু আমাদের নবী মারাত্বক ভাবে আহত হন। তাঁর একটি দাঁত মোবারক ভেঙে যায়। কোরেশরা গুজব ছড়ায় মুহাম্মদ (সঃ) যুদ্ধে নিহত হয়েছেন-এতে তাদের লাভ হয়নি। পরাজিত হয়ে ও ধুরন্ধর আবু সুফিয়ান বসে নেই। আবার যুদ্ধ করার জন্য সৈন্য যোগার করতে থাকে। শত্রুরা আক্রমন করতে পারে চিন্তা করে নবীর ইরানী সাহাবী সালমান ফারসীর সুপারিশ ক্রমে মদিনার চার দিকে গর্ত অর্থাৎ পরিখা খনন করা হয়।আবু সুফিয়ানের দশ হাজার সৈন্যের সাথে মাত্র আড়াই হাজার মুসলিম মোকাবেলা করে। যুদ্ধ করতে এসে শত্রু পক্ষ মদিনার চতুর্দিকে পরিখা দেখে ভয়ে পিছনে হটতে থাকে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আকস্মিক মরু ঝড় দিয়ে শত্রুদেরকে নিশ্চিনহ করে দেন। পরিখা যুদ্ধ জয়ের পরবর্তি বছর মুসলমানগণ মক্কায় হজ্ব ব্রত পালন করতে ইচ্ছে করে করেনা। সে মোতাবেক তারা এহরাম বেঁধে রওনা হয়েও যান। মক্কার কাছাকাছি গিয়ে হুদাইবিয়া নামক স্থানে তাবু গাড়েন। সংবাদদাতা পাঠিয়ে কোরেশদের জানানো হয় মুসলমানেরা শান্তিপ্রিয়ভাবে হজ্ব করে অবশ্যই মদিনায় ফিরে যাবেন। কিন্তু কোরেশরা তা বিশ্বাস করে নাই। পরের বছর আসতে বলে। দৃরদৃষ্টি সম্পন্ন আল্লাহর নবী কোরেশদের কথায় রাজি হয়ে তাদের সাথে সন্ধি করে মদিনায় ফিরে যান। এ সন্ধিই ইসলামের ইতিহাসে হুদাই বিয়ার সন্ধি নামে খ্যাত। সন্ধির অন্যান্য শর্ত মূলে ইসলাম গ্ৰহনের জন্য বিভিন্ন গোত্রের কাছে আমন্ত্রণ পাঠানো হতে থাকে। তখন বিশ্বে বর্তমান আমেরিকা রাশিয়ার মত দুটি পরাশক্তি ধর রাষ্ট্র ছিল। একটি রোমান ও অপরটি পারস্য সম্রাজ্য। এ দুই রাষ্ট্র প্রধানের নিকট ইসলাম গ্ৰহণের দাওয়াত পাঠানো হয়। তারা তা গ্ৰহণ করনি-উল্টো বেয়াদবি মনে করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে প্রতিশোধ নেওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করে। প্রতিশোধ নেওয়ার পরিবর্তে তাদের দম্ভ কিভাবে খর্ব হয়েছিল ইতিহাস তার অনন্ত সাক্ষী। তাদের সম্রাজ্যের অধিকাংশই একদিন মুসলিম শাসনাধীনে এসেছিল। এ দিকে কোরেশরা সন্ধির চুক্তি ভঙ্গ করে মদিনা আক্রমনের ইচ্ছে করলে আল্লাহর নবীর মক্কা আক্রমণ করা ছাড়া অন্য কোন শান্তির পথ খোলা ছিল না। পরের বছর রমজান মাসে দশ হাজার বাহিনী নিয়ে এসে মক্কার উপকন্ঠে মুসলমানেরা শিবির ফেলে। ভয় পেয়ে আবু সুফিয়ান এসে আত্নসমপর্ণ করে। শিবিরে উপস্থিত হয়ে সে ,’লাইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহম্মদুর রাসুলুল্লাহ’ ঘোষনা করে। উটের পিঠে বসে আল্লাহর নবী বিরাট বাহিনী সহ দৃপ্ত পদভারে কাবায় প্রবেশ করেন। মুহ মূহর ‘আল্লাহ আকবর ‘ ধ্বনিতে সমগ্ৰ কাবা প্রাঙ্গণ কেঁপে উঠে। কাবায় রক্ষিত মূর্তিগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন-‘আজ সত্য এসেছে-মিথ্যা বিতাড়িত’। তিনি সকলের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। দলে দলে লোক কলেমা উচ্চারণ করে ইসলাম গ্ৰহণ করতে লাগলো।দুনিয়া ব্যাপি ইসলামের ঝান্ডা উড়তে লাগলো। তাঁর পরও শত্রুরা হাওয়াজীন বাহিনী গঠন করে ‘হোনায়েন’নামক স্থানে মুসলিম বাহিনীর গতিরোধ করতে চাইলো। কিন্তু আমাদের রসুলের কাছে পরাজয় বরণ করে জান মাল স্ত্রীপুত্র হারায়। হাওয়াজীন নেতা ইসলাম গ্ৰহণ করলে আঙুরের শহর তায়েফ মুসলমানদের হস্তগত হয়। সমগ্ৰ আরব দেশ ইসলামের পতাকাতলে আসে। সারা দুনিয়ার মুহম্মদ (সঃ)এর কথা ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক তখনি রসুল (সঃ) দুই পরাশক্তির একটি রোমানদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন।রোমান সম্রাট হেরাক্লিয়াস পালিয়ে যায়। হজরত মুহম্মদ (সঃ) এর জীবদ্দশায় এটি ছিল তাঁর সব চেয়ে বিবাট সাফল্য। ইতিমধ্যে দেখতে না দেখতে দশ বছর পার হয়ে যায়। হিজরি ১০ম সনে তিনি হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ মুসলমান সহ মক্কায় আসেন। এটি ই ছিল আখেরি নবীর শেষ হজ্ব। এ হজ্বকেই বিদায় হজ্ব বলে। এ হজ্বে তিনি ঐতিহাসিক ভাষণ দেন যা ইতিহাসে ‘বিদায় হজ্বের ভাষণ, নায়ে বিখ্যাত। মানব জাতির চলার পাথেয় স্বরুপ তিনি বলেন-‘(১) আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করা যাবেনা।(২) আল্লাহর দৃষ্টিতে সকল মানুষ সমান,(৩)কোন মানুষের উপর অত্যাচার করা যাবেনা,(৪) মিথ্যা বলা মহাপাপ,(৫)চুরি ও ব্যভিচার করা যাবেনা,(৬)নারী পুরুষ পরপ্সর সমান অধিকারী এবং (৭) ধর্ম দিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করবেনা,(৮) কোরআন ও সুন্নাহ নিয়ে আকঁড়ে থাকলে কোন দিন মুসলমানদের পতন হবেনা সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা। বিদায় হজ্বের কিছু দিন পরই আমাদের প্রিয় নবী প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় কাতর হয়ে পড়েন। তাঁর রোগ যাতনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। অবশেষে ১২রবিউল আউয়াল আল্লাহর নবী, মুসলিম জাহানের সোনায় মোড়ানো এ পরশ পাথর বিবি আয়েশার কোলে মাথা রেখে ইন্তেকাল করেন-ইন্নালি লাহি ওয়াইন্না ইলাহে রাজেউন। মুসলিম উম্মাহর নবীর উপর মহান আল্লাহর অব্যাহত শান্তি বর্ষিত হোক। আমিন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুনব্বী ২০২০ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত পরিসরে উপস্থাপন
লেখক: সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার (টিইও)
Posted ১২:০৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।