• শিরোনাম

    আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সৈয়দপুর বেলপুকুর স্কুল এন্ড কলেজের নিয়োগ বাণিজ্য

    সোহাগ ইসলাম, নীলফামারী: মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

    আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সৈয়দপুর বেলপুকুর স্কুল এন্ড কলেজের নিয়োগ বাণিজ্য

    apps

    নীলফামারী সৈয়দপুরের খালিশা বেলপুকুর স্কুল এন্ড কলেজের চারটি পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও সভাপতির বিরুদ্ধে।
    গত ৫ ডিসেম্ববর ২০২২ইং তারিখে যায়যায়দিন ও নীলফামারী বার্তায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে বেশ কয়েকজনের কাজ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও সভাপতি। পরে দুইবার পছন্দের প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টাও চালায় তারা। নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে সৈয়দপুর আমলি আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির দুই অভিভাবক সদস্য। মামলা নং- অন্য ৯২/২৩। মামলাটি আমলে নিয়ে গত ১১মে একতরফা শুনানি শেষে নিয়োগ বন্ধের নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। গত ১৪মে বিবাদী পক্ষের একতরফা শুনানিতে নিষেধাজ্ঞার আদেশটি ভ্যাকেট হয়। উভয় পক্ষের আপত্তি শুনানির জন্য ২৪মে দিন ধার্য করা হয়। এদিকে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আপত্তি শুনানির নিষ্পত্তি না হওয়া সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বিদ্যালয়ের ভবনে তালা ঝুলিয়ে পুলিশ প্রহরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

    ডিজির প্রতিনিধি সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক এর অনুপস্তিতে পরীক্ষার কার্যক্রম সমাপ্তি করে। পরে স্থানীয় ও সংবাদকর্মীদের তোপের মূখে পড়লে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ডিজির প্রতিনিধিকে নিয়ে আসে। তারপরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে কতৃপক্ষের পছন্দের প্রার্থীদের মনোনিত করেন।

    নিয়োগ পরীক্ষার আগে অভিভাবক সদস্য জিয়াউর রহমান সহ স্থানীয়রা জানান, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে ধনির উদ্দিনের ছেলে মোঃ তাকি হাসান মুত্তাকি, অফিস সহায়ক পদে খালিশা ময়দানের পার শড়ারপুকুরের লিটন ইসলামের ছেলে মোঃ রিমন ইসলাম,খালিশা বেল পুকুর এলাকার মশিয়ার রহমানের ছেলে শাহিন আলমকে নিরাপত্তা কর্মী ও খালিশা ময়দানের পাড় শড়ারপুকুর এলাকার এরশাদ আলীর স্ত্রী হাসি আক্তারকে আয়া পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য পাগলা কুত্তা হয় সভাপতি ও অধ্যক্ষ। ইতোমধ্যে তাদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও তারা বলেন, আদালতে মামলা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ বাহিনী ও স্থানীয় ক্যাডার বাহিনী দ্বার করিয়ে বিদ্যালয়ের ভবনে তালা ঝুলিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার পরিচালনা করেন। এসময় তথ্য জানার জন্য সংবাদকর্মীদেরকেও ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যাতে এই অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে আদালতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পূনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেধাবীদের চাকরি লাভের সুযোগ দেয়া হয়।

    এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা এর আগেও দুইবার পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন কারণে তা বাতিল হয়ে গেছে। এজন্য আজকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করছি।

    আদালতে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিও আইন নিয়ে পড়েছি। আমার চেয়ে কেউ ভালো বুঝে না।
    পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে ছবি না থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন, আমরা থাকতে ছবি দিতে হবে কেনো। পরীক্ষার হলে দেখে নিয়েছি।
    প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি এরশাদ আলীর কাছে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলার শুরু করতেই তাকে এক ক্যাডার এসে বিদ্যালয়ের ভিতরে নিয়ে যায়।

    এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কথা বলতে না চাইলেও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, মামলার নিষেধাজ্ঞার আদেশ ভ্যাকেট হলেও শুনানির আগে নিয়োগের আদেশ দেয়া না হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হবে।

    বাংলাদেশ সময়: ৯:৩৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ