নিজস্ব প্রতিনিধি। | রবিবার, ২০ জুন ২০২১ | প্রিন্ট
৭ নং চরবানি পাকুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোছাঃ মল্লিকা বেগম (৩২),মেলান্দহ, জামালপুর।জামালপুর সদরে মেথর পট্টিতে অবস্থিত সাবেক কমিশনার শামীমা আক্তার রুবি, স্বামী আব্দুল মতিন বাবুল, ওনাদের বাসায় মল্লিকা বেগম বিগত তিনমাস ধরে কাজ করতো।
হঠাৎ করে গত শুক্রবার দিন মল্লিকাকে শামীমা আক্তার রুবি তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। মল্লিকা অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। রুবির ফোন পেয়ে মল্লিকা তার বাসায় যায়,রুবি মল্লিকাকে তার হাতের স্বর্ণের বালা চুরির অপবাদ দেয় এবং অনেক জোর জবরদস্তি করে স্বীকারোক্তি আদায় করে।
তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে মল্লিকাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মল্লিকা রুবির বাসা এবং থানায় গিয়েও বার বার দাবি করেছে সে চুরি করেনি। এমতাবস্থায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মোছাঃ কামরুন নাহার কানন মল্লিকার বাড়ির লোকদের নিয়ে রুবির বাসায় যায় এবং তাদের মুখে সম্পূর্ণ ঘটনা শোনে।
পরবর্তীতে কানন থানায় যায় এবং মল্লিকা যে নির্দোষ তা প্রমাণ করার জন্য সদর থানায় তদন্ত কমিটি গঠন করার অনুরোধ জানায়।
নিজ দায়িত্বে মল্লিকাকে থানা থেকে তার বাড়িতে মল্লিকার মায়ের কাছে পৌঁছে দেয়।মল্লিকা মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছে বলে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোছাঃ কামরুন নাহার কানন সাংবাদিকদের অবগত করেন।মল্লিকাকে তার অস্তিত্বর কারণ জানতে চাইলে সে বলে,আমরা গরিব,অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করে খাই কিন্তু চুরি করার অভ্যাস আমার নাই।আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,যেনো অভিযোগকৃত গয়না তৎপরতার সাথে বের করে দিয়ে সঠিক বিচার করে দেন এবং আমার উপর উঠে আসা চুরির মিথ্যা অপবাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ প্রদান করেন।
সেই সাথে মল্লিকা এও জানান,কানন আপার মতো একজন মানবতা সম্পন্ন মানুষ এলাকার সকলের আপদে বিপদে যার দীর্ঘদিনের পথ চলা সে যদি চেয়ারম্যান হোন তাহলে এলাকার মানুষদের জন্য আরোও অনেক কিছু করার সুযোগ পাবেন এবং এভাবেই আরোও বহু মানবিক কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারবেন।
অবশেষে কানন আপার দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং ৭ নং চরবানি পাকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকেই দেখার জোরদাবি জানায়।
Posted ৮:৪৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২০ জুন ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।