| মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১ | প্রিন্ট
টি.এম.এ হাসান, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জে ১৩বছরের এক কিশোরীর চার মাসের অন্তসত্মা অবস্থায় ১৬বছরের এক কিশোরের সাথে অবৈধ উপায়ে বিয়ের পরে ১মাসের সংসার না হতেই ৫মাসের অন্তসত্মা অবস্থায় রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রবিবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে তার শ্বশুর বাড়িতে কিশোরীটির মৃত্যু হয় বলে তার পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের গজাড়িয়া গ্রামের পূর্বপাড়ায় নিহতের শ্বশুর কামরুজ্জামানের বাড়িতে। কামরুজ্জামানের ছেলে আতিকুর রহমান (১৬) এর সাথে ১মাস আগেই বিয়ে হয় তার। নিহত ৫মাসের অন্তসত্মা কিশোরী সাথী খাতুন (১৩) একই গ্রামের প্রতিবেশী মো. সাগর মুন্সির মেয়ে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবেশী মো. সাগর মুন্সির মেয়ে সাথী খাতুন (১৩) এর সাথে প্রতিবেশী কামরুজ্জামানের ছেলে আতিকুর রহমান (১৬) এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক হলে কিশোরী সাথী খাতুন (১৩) ৪মাসের অন্তসত্মা হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মাসখানেক আগে তারা দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্ট্যাম্পে লেখাপড়া করে বিয়ে দেয়া হয়।
নিহতের বাবা সাগর মুন্সি বলেন, আমি গতকাল রাতে মেয়ের শ্বশুরের সঙ্গে এসে খাওয়া দাওয়া করে গেছি। কিন্তু তখন মেয়ে ও জামাই মনেহয় ঘুমাইছিলো তাই যাবার সময় আর দেখা হয়নি।
নিহতের শ্বশুর কামরুজ্জামান বলেন, রাত ১টার দিকে আমার ছেলে আমাদের ডেকে বললো সাথী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা তখন মেয়ের বাবা মাসহ সবাইলে ডাকলাম এবং মাথায় পানি ঢাললাম। কিন্তু হাসপাতালে কেন নিলেন না জানতে চাইলে বলেন, আমি ডাক্তারের মোবাইল নাম্বারে ফোন করেছিলাম কিন্তু বন্ধ পেয়েছি।
নিহতের স্বামী আতিকুর রহমান (১৬) জানায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ দেখি স্ত্রী বিছানায় নেই। আমি ভাবলাম বাথরুমে গিয়েছে তাই কিছুক্ষণ দেরি করার পরেও না আসলে এগিয়ে গিয়ে দেখি পাশের ঘরে শুয়ে আছে। এবং প্রেমের সম্পর্ক ধরে সাথী ৪মাসের অন্তসত্মা হওয়ায় মাসখানেক আগে বিয়ে করেছি বলেও জানায় সে।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম বলেন, আমি স্ট্যাম্পে লেখাপড়া করে মাসখানেক আগে বিয়ে হয়েছে বলে শুনেছি এবং আজ সকালে মেয়েটির মৃত্যুর খবর পেয়ে আসলাম। শুনলাম মেয়েটি ৫মাসের অন্তসত্মা ছিল।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য ১নং রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী মো. আতিকুর রহমান ও নিহতের শ্বাশুড়িকে থানায় আনা হয়েছে।
Posted ১২:০৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।