অনলাইন ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ | পড়া হয়েছে 268 বার
বিশেষ প্রতিবেদক:
৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানি করবে সরকার। মোট তিন লটে আসবে এই এসিড। গতকাল বুধবার অনলাইনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এটিসহ সর্বমোট ৩৩৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে চার ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আরেকটি প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।
মূলত বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবারে ব্যবহৃত হয় ফসফরিক এসিড। কোলা এবং বেভারেজ জাতীয় পানীয়কে অম্লীয় করতে ফুড-গ্রেড ফসফরিক এসিড ব্যবহার করা হয়।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সভায় অনুমোদিত চারটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৩৩৪ কোটি ৪০ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৩ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ২২৯ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৮০৪ টাকা এবং বিশ্বব্যাংক ও দেশীয় ব্যাংক থেকে ১০৫ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৯ টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের অধীন ডিএপি ফার্টিলাইজার কম্পানি লিমিটেড (ডিএপিএফসিএল) পুনঃ দরপত্রের আওতায় তিনটি লটে মোট ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
এতে ব্যয় হবে ৮৭ কোটি ৯৭ লাখ ৪২ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) মুনতাজাত, কাতার থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন (১০%+) ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করবে। এতে ব্যয় হবে ৬১ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৯৩৭ টাকা।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে বাস্তবায়নাধীন ঢাকা সিটি নেইবারহুড আপগ্রেডিং প্রজেক্ট (ডিসিএনইউপি) প্রকল্পের জন্য পাঁচটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে সরকার। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো দোহা ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি, জাংগলিম আর্কিটেক্ট কম্পানি, কোরিয়া (৩) দেব কনসালটস, বাংলাদেশ, ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিং এবং তানিয়া করিম এন.আর খান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। এদের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৪৩ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ৬৪২ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের দুটি প্রস্তাব ছিল। দুটিই অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়কের কুষ্টিয়া শহরাংশ চার লেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের পূর্তকাজে ব্যয় হবে ১৪১ কোটি ২৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬০৪ টাকা। সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান জহিরুল লিমিটেড কাজটি পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:১০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel