অনলাইন ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২০ | পড়া হয়েছে 363 বার
নবকন্ঠ ডেস্ক:
এশার আগে ঘুমানো
আবু বারজাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এশার আগে নিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৮)
আয়েশা (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) এশার নামাজ আদায় করতে দেরি করলেন। ওমর (রা.) তাঁকে বলেন, আস-সালাত। নারী ও শিশুরা ঘুমিয়ে পড়েছে। অতঃপর তিনি বেরিয়ে আসলেন এবং বলেন, তোমরা ছাড়া পৃথিবীর আর কেউ এ নামাজের জন্য অপেক্ষা করছে না। (বর্ণনাকারী বলেন) তখন মদিনা ছাড়া অন্য কোথাও নামাজ আদায় করা হতো না। (তিনি আরো বলেন) পশ্চিম আকাশের ‘শাফাক’ (পশ্চিম আকাশের লাল কিরণ) অন্তর্হিত হওয়ার পর থেকে রাতের প্রথম এক-তৃতীয়াংশের মধ্যে তাঁরা এশা নামাজ আদায় করতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৯)
ফজর ও আসর নামাজের ফজিলত
জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, এক রাতে রাসুল (সা.)-এর কাছে ছিলাম। হঠাৎ তিনি পূর্ণিমা রাতের চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, শোনো! এটি যেমন দেখতে পাচ্ছো, তোমাদের প্রতিপালককেও তোমরা তেমনি দেখতে পাবে। তাঁকে দেখতে তোমরা ভিড়ের সম্মুখীন হবে না। কাজেই তোমরা যদি সূর্য ওঠার আগের নামাজ ও সূর্য ডোবার আগের নামাজ আদায়ে সক্ষম হও, তাহলে তা-ই করো। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন, ‘সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে আপনি আপনার প্রতিপালকের প্রশংসায় তাসবিহ পাঠ করুন।’ [সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১৩] (বুখারি, হাদিস : ৫৭৩)
রমজানে ফজরের নামাজ তাড়াতাড়ি পড়া
জায়েদ ইবনে সাবিত (রা.) বলেন, তাঁরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে সাহরি খেয়েছেন, অতঃপর ফজরের নামাজে দাঁড়িয়েছেন। আনাস (রা.) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ দুইয়ের মাঝে কতটুকু সময়ের ব্যবধান ছিল? তিনি বলেন, ৫০ বা ৬০ আয়াত তিলাওয়াত করা যায়, এরূপ সময়ের ব্যবধান ছিল। (বুখারি, হাদিস : ৫৭৫)
সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সাহরি খেতাম। খাওয়ার পরে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ফজরের নামাজ পাওয়ার জন্য আমাকে খুব তাড়াহুড়া করতে হতো। (বুখারি, হাদিস : ৫৭৭)
বাংলাদেশ সময়: ৩:০৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২০
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel