এ কে এম আজাদ, হরিণাকুন্ডু : | বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১ | প্রিন্ট
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ভাইরাস জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত পরীক্ষা নীরিক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় অনেকই করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছে। অনেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ও অন্যান্য রোগের কারনে জ্বরে ভুগলেও তাদের ভিতর করোনার আতংক বিরাজ করছে। জ্বর হচ্ছে প্রথম সপ্তাহ বিছানায়, পরের সপ্তাহ কাশ ও দুর্বলতায় কেটে যাচ্ছে আক্রান্তদের। তবে এই জ্বর শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, গর্ভবতী মা, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, লিভারের অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তিসহ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দিন দিন এসব জ্বরের তীব্রতা বেশি বা আক্রমণাত্মক বলে মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, পুরনো সেই ভাইরাসগুলো নতুনরূপে আক্রমণ করছে, বেড়ে গেছে ভোগান্তি, বাসা বেঁধেছে আতঙ্ক। করোনায় এই আতঙ্ক যেন বহুগুণ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া। ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে জ্বর-সর্দি-কাশি হচ্ছে ঘরে ঘরে। করোনাভাইরাসে আতঙ্কের কারণে অনেকেই সাধারণ ঠাণ্ডাজ্বর হলেও ভয় পাচ্ছে। ফলে সাধারণত কেউ হাঁচি বা কাশি দিলেই তার দিকে আড়চোখে দেখছে সবাই। ফলে সাধারণ ফ্লুকে করোনা ভেবেও কেউ কেউ হয়ে যাচ্ছে প্যানিক। ভাইরাস জ্বরের আতঙ্কে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আক্রান্ত পরিবারগুলো। এ ছাড়া এসব জ্বরে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার মানুষ ও পরিবেশের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গত ১৩/৭/২০২১ রোজ মংলবার বরিশখালীর এক যুবক জরে ভুগতে থাকে নিজেই হাইয়ার অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেয়ে তার মৃত্যু হয়। পর্যাপ্ত পরীক্ষা নীরিক্ষা না থাকার কারণে এই রকম অপমৃত্যু ঘটছে।
Posted ১:৫২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।