এস,এম মনির হোসেন (সোনারগাঁও,নারায়ণগঞ্জ) : | মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | পড়া হয়েছে 23 বার
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে যুব লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি অভিযোগ দায়ের করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং বিকেলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় অবস্থিত কলাপাতা রেষ্টুরেন্টে সোনারগাঁওয়ের সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তিনি জানান,
আমি রফিকুল ইসলাম নান্নু সভাপতি, সোনার গাঁও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ, গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ইং তারিখে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে জনৈক নাম-মোঃ শরিফ হোসেন পিতা :মো: সামসুল হক, সাং- পিরোজপুর, সোনার সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ বাদী হয়ে আমার নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। উল্লেখিত অভিযোগের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
একটি কুচক্রী মহল আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্শ্বান্তিত হয়ে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিক ভাইদেরকে মিথ্যা তথ্য জানিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকাতে মিথ্যা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে সংবাদ প্রকাশ করে। যাহা আমার দলের ভাবমূর্তি এবং আমার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ব্যক্তিগতভাবে খুবই ব্যতিত হয়েছেন।
ভবিষ্যতে আরো সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে সাংবাদিক ভাইয়েরা সংবাদ প্রকাশ করবে এটাই তিনি আশা করেন।
তিনি আরো জানান, প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা
আপনারা সকলেই আমাকে চিনেন এবং জানেন, আমি আপনাদের এলাকারই সন্তান। জীবনের শুরু থেকেই আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০০৪ সালে আমি সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দাবি
চড়াই উতরাই পেরিয়ে বর্তমানে আমি সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সেই সময়ে বিএনপি জামাত জোট সরকারের রোমানলে পড়ে হামলা মামলার শিকার হয়ে
জেল খেটেছি। সম্প্রতি হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হক এর রিসোর্ট কান্ডের একটি মামলার বাদি হওয়ায় বিভিন্ন মহল বিভিন্নভাবে আমাকে হয়প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, প্রকৃত বিষয় হচ্ছে এই যে, সাবেক চরমেনিখালীও হালে হাবিবপুর মৌজায় এস,এ ৯ ও ১১ নং এবং আর.এস ১১৮ ও ৬নং খতিয়ানে এস.এ-৯৭,৯৮,ও ১০০ আর, এস ৭৯ ও ৮০ দাগে ৮ শতাংশ ভূমি আমার সহধর্মিনী মোসাঃ বিউটি আক্তার গং, পিতা মৃত নুরুল ইসলাম সাং হাবিব পুর পত্রিক এবং ক্রয়সূত্রে মালিক দখলদার বটে। উক্ত জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ইং তারিখে একটি পঞ্চায়েত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকের ফয়সালা অভিযোগকারি মোঃ শরিফ হোসেন কুচক্রী মহলের পৃররোচনা প্ররোচিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চাচ্ছে। এই মামলা এবং জায়গার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। উক্ত শালিসে আমি একজন শালিশকারক হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলাম মাত্র। তাই আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উল্লেখ্য, জায়গাটি নিয়ে বর্তমানে
বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালত নারায়ণগঞ্জে ১২৫/২০২৩ একটি পিটিশন মামলা চলমান,এবং একটি দেওয়ানী মামলাও চলমান রহিয়াছে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একটি সামাজিক বিচার শালিশ কার্যে যেয়ে কারো ন্যায্য অধিকার সম্পর্কে কথা বলায় যদি চাঁদাবাজীর অভিযোগ হয় তাহলে নিরিহ জনগণ কোথায় গিয়ে প্রকৃত বিচার পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:০২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel