গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ | মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১ | প্রিন্ট
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জন্ম সনদ বানিজ্যে বে- পরোয়া সচিব। উপজেলার ১৩ নং শ্রীপুর ইউপিতে রমারম চলছে জন্ম সনদ ব্যবসা।সংবাদ পত্রে, বার বার সচিব মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জন্ম সনদ বানিজ্যের তর্থ্য তুলে ধরার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি বলে ভুক্ত ভুগি অনেকেই তাদের মতো প্রকাশ করেন। সরকার প্রতিটি নাগরিকে অন লাইন জন্ম সনদের আওতায় আনার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদকে তাগিদ দিয়ে জন্ম সনদ গেজেট প্রকাশ করেছে। ইউনিয়ন পরিষদ গুলো জন্ম সনদ গেজেট আইন তোয়াক্কা না করে, মন গড়া মত অর্থ আদায় করে, নিবন্ধন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২৫ মে মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীপুর ইউপি পরিষদে কয়েক জন ভুক্তভোগী, সচিব মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ তুলে ধরে। ইউনিয়ন পরিষদে সাংবাদিক কে দেখে, মোঃ শান্তি মিয়া, জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এস.এইচ.এম সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহফুজার রহমান (ডাকুয়া) ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের জন্ম সনদ বানিজ্যের দুর্নীতির কিছু ভিডিও চিত্র সাংবাদিকের হাতে তুলে দিয়ে, তারাও অভিযোগ করে বলেন, সরকার কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে উল্ল্যেখ আছে, শিশুর বয়স ১ দিন থেকে ৪৫ দিনের জন্মসনদ ফ্রী। ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা। ৫ বছরের উদ্ধে যে কোন বয়সের ব্যক্তির নিবন্ধন ফি ৫০ টাকা। সচিব মিজানুর রহমান সরকারের প্রকাশিত গেজেট তোয়াক্কা না করে, কিছু অসত ব্যক্তির সহযোগীতায় নিবন্ধন প্রতি ২৫০/৩০০ টাকা আদায় করে নিজ তহবিল মোটা করে আসছেন।
“আমরা এ বানিজ্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাধারণ জনগণের পক্ষে দাড়িয়েছি, আমরা দেশের সচেতন নাগরিক, আমরা এলাকায় বসবাস কালীন সময়ে পরিষদে কোন প্রকার দুর্নীতি বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি, মেনে নিবো না, অন্যায়ের প্রতিবাদ চালিয়েই যাব” এমনটাই বলেন ভিডিও প্রদান কারীরা।তারা আরো বলেন, “সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারাও জনগণের দুঃখ লাঘব করতে, এ দুর্নীতি বাজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দুর্নীতি বাজদের মুখোশ দেশের জনগণের কাছে উন্মোচন করুন’। এর আগেও উপজেলার শ্রীপুর ইউপি সচিব মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধনে বার্তি অর্থ আদায়ের নিউজ প্রকাশ হলেও সচিব মিজানুর রহমান এখন পর্যন্ত জন্ম সনদে অর্থ বানিজ্য বন্ধ করেনি পুর্বের নিউজের সময় মুঠোফোনে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে,তিনি বলেন, শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধনে কোন প্রকার বাড়তি অর্আথ দায় করা হয় না।
কিন্তু আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীর উপস্থিত থাকা কালীন সময়েও নিবন্ধন প্রতি ২৫০ টাকা আদায় করা হয়েছে। সচিব মিজানুর রহমানের অনিযম ও দুর্নীতি ধরার জন্য, গণমাধ্যমকর্মী তথ্য সংগ্রহ করলে, সচিব মিজানুর রহমান সাংবাদিকের নাম ও মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে, আঃলীগ নেতাদের দ্বারা নিউজ প্রকাশ না করার বিষয়ে কথা বলাতে থাকেন। এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফকে বিষয়টি অবগত করার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
Posted ১০:৪২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।