টি.এম.এ হাসান, সিরাজগঞ্জ: | মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১ | প্রিন্ট
সিরাজগঞ্জে হঠাৎ করেই শহর রক্ষা বাধে ধ্বস শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে পানির ঘুর্নায়নের কারনে এই ভাঙ্গণ শুরু হয় বলে জানা গেছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতিমধ্যেই ভাঙ্গণ রোধে সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলছে। সাথে সহযোগিতা করছেন স্থানীয়রা। তবে ভাঙ্গন ঘিরে আতংক দেখা দিয়েছে জনমনে। টানা বর্ষণ ও যমুনা নদীতে পানি বাড়ার ফলে হঠাৎ করেই সিরাজগঞ্জ যমুনা নদীর স্থায়ী শহররক্ষা বাঁধে ধস দেখা দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ধস ঠেকানোর জন্য বালুভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে। ভাঙনের খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শহরবাসী। মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুর থেকে শহর রক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট এলাকায় এ ধস শুরু হয়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. ফারুক আহাম্মেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার পারভেজসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল হকস অনেক নেতারা ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে হঠাৎ করেই শহর রক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট অংশে ধস দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় একশো মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এতে আতংকিত হবার কিছু নেই। পরিস্থিতি অনুকূলে আছে জানিয়ে বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ব্লক ও জিও ব্যাগ নিক্ষেপ শুরু করেছি। টানা বর্ষণ ও নদীর পানির তীব্র স্রোতে ঘূর্ণাবতের সৃষ্টি হয়ে বাঁধের নিচ থেকে মাটি সরে সিসি ব্লকগুলো দেবে গেছে। দুদিন আগেও আমরা এখানে ভালো অবস্থা দেখেছি। আজ আকস্মিকভাবে হঠাৎ করেই ধস দেখা দিয়েছে। ধস ঠেকাতে বালিভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করা হয়েছে। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. একরামুল হক বলেন, এতোবড় ভাঙ্গণে আতংকিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিকে দায়ী করে তিনি বলেন, তাদের অবহেলা ও উদাসীনতার জন্যই আজ এই অবস্থা। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসান জানান, এর আগেও ভাঙ্গন এখানে একাধিকবার ভাঙ্গণ হয়েছে। এতে আতংকিত হবার কিছু নেই। জানা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরকে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় ২০০১ সালে ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধটি নির্মাণ করা হয়।
Posted ৪:৩৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।