• শিরোনাম

    সিরাজগঞ্জে সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের আশায় মধু সংগ্রহে নেমেছে মৌ খামারীরা

    জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ | শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ | পড়া হয়েছে 37 বার

    সিরাজগঞ্জে সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের আশায় মধু সংগ্রহে নেমেছে মৌ খামারীরা

    apps

    সিরাজগঞ্জে সরিষা চাষাবাদে এবার বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে । আর চোখজুড়ে মাঠে মাঠে এখন সরিষা ফুলের হলুদ সমারোহ । এ ফুলের মধু সংগ্রহে নেমেছে মৌ খামারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯ টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৬১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে । এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছু বেশি চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। এ সরিষা সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে জেলার উল্লাপাড়া,রায়গঞ্জ,তাড়াশ,শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে । মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের হলুদ সমারোহ ঘিরে সেলফি তোলার হিড়িক পড়েছে । ইতিমধ্যেই সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ৩ শতাধিক মৌখামারি জেলার বিভিন্ন স্থানে সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ বাক্স স্থাপন করেছে এবং শুরু হয়েছে মধু উৎপাদনের মৌ বাক্সের কৌশল । স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছেন, এ মধু সংগ্রহের সময় মৌমাছির পরাগায়নের ফলে সরিষার ফলন বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। মধু উৎপাদন অব্যাহত রাখতে ও মৌমাছি বাঁচাতে সরিষা ফুলে কৃষকদের অযাচিত কীটনাশক ব্যবহার বন্ধে কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ থেকে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৩শ মেঃ টন । মধু আহরণ করে একদিকে যেমন খামারিরা লাভবান হবে অন্যদিকে কৃষকরাও লাভবান হবে। মৌমাছি মধু সংগ্রহের সময় ফুল থেকে ফুলে উড়ে বেড়ানোয় ঘটে পরাগায়ন। এতে সরিষার উৎপাদন ১০/১৫ ভাগ বেশি হয়। সরিষা মৌসুমে খামারিদের উৎপাদিত মধু শুধু মাঠে বিক্রি নয় বড় বড় কোম্পানীও মধু ক্রয় করে থাকে । প্রতি কেজি মধু গড়ে তিনশ থেকে চারশত টাকায় বিক্রি হয় । এ বিষয়ে জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বয়ড়া গ্রামের মৌখামারী আব্দুল মান্নান জানান, উপজেলার ধরইল চরপাড়া এলাকার সরিষা মাঠে ৩শ’ মৌ বাক্স স্থাপন করেছি এবং এ বছর ১ মে.টন মধু সংগ্রহ করা হবে। সে বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । এদিকে সিরাজগঞ্জ মৌচাষী সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, গত বছর কৃষকরা জমিতে অধিক ফলনের আশায় সরিষা ফুলে হরমন জাতীয় কীটনাশক প্রয়োগ করায় অনেক মৌমাছি মারা গেছে। এতে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মৌ খামারিরা । এবার যেনো কৃষকরা জমিতে কীটনাশক স্প্রে করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের প্রতি জোর দাবী জানান তিনি । জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সুত্রধর বলেন, আগামী ৩ বছরে জেলায় ৪০ ভাগ তৈল উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরিষা চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কৃষকরা এ পরামর্শে নিয়ে সরিষা চাষে ঝুকে পড়েছে । এবার ৬১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। সেই সাথে এবার জেলায় সরিষা ফুল থেকে ৩শ’মে.টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে । তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সরিষা চাষাবাদে বাম্পার ফলন ও মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানান তিনি

    বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

    dainikbanglarnabokantha.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ