টি,এম,এ হাসান সিরাজগঞ্জ | রবিবার, ০৬ জুন ২০২১ | প্রিন্ট
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুরে বজ্রপাতে স্কুল ছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেল ৫টার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা, উধুনিয়া, শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ও নরিনা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহতেরা হলেন-শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চর আঙ্গারু গ্রামের আমানত হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২৬), নরিনা ইউনিয়নের বাতিয়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে আলহাজ্ব বাবুর্চি (৫০), সলঙ্গা ইউনিয়নের আঙ্গারু বাঘমারা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের আগদিঘল গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে ও উধুনিয়া মানিকজান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ফরিদুল ইসলাম (১৫)। কায়েমপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম জানান, রোববার বিকেলে কায়েমপুর ইউনিয়নের চর আঙ্গারু গ্রামে আব্দুল্লাহ (২৬) বাড়ির পাশে মাঠে ধান কাটছিলেন। এ সময় ঝড় ও বৃষ্টিপাত শুরু হলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই সে নিহত হয়। নরিনা ইউপির বাতিয়া গ্রামের স্থানীয় আলতাফ হোসেন জানান, বিকেলে বাতিয়া গ্রামের আলহাজ বাবুর্চি স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বাড়ির পাশেই মাঠে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হলে তারা দুজন দৌড়ে বাড়ি ফেরার সময় আলহাজ বাবুর্চি বজ্রপাতে নিহত হয়। উধুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জানান, বিকেলে ফরিদুল ইসলাম মাঠে ধান কাটার কাজ করছিলেন। এ সময় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে ধান কাটা বাদ দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আগদিঘল গ্রাম কবরস্থানের কাছে পৌছালে বজ্রপাতের তার মৃত্যু হয়। সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফি কামাল শফি ও আঙ্গারু কমিউনটি ক্লিনিকের হেলথ প্রোভাইডার মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, রোববার সকালে পাশ্ববর্তী বাঙ্গালা ইউনিয়নের দরিয়াল বিলে খাদ্য খাওয়ানোর জন্য হাঁসের বাথান নিয়ে যায় রফিকুল ইসলাম। হাসের পরিচর্যা ও খাদ্য খাওয়ানো শেষে হাঁসের বাথান নিয়ে বিকেলে বাড়ী ফেরার পথে প্রচ- ঝড় ও বৃষ্টির কবলে পড়ে বজ্রপাতে রফিকুল মারা যায়।
Posted ১০:০৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৬ জুন ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।