
ফরিদপুর প্রতিনিধি: | মঙ্গলবার, ০৭ জুন ২০২২ | পড়া হয়েছে 19 বার
ফরিদপুরের সালথায় কাজ শেষ হওয়ার আগেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরের বারান্দার ডোয়া হেলে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ঘর নির্মাণে অনিয়মের বিষয়টি আবারও সামনে উঠে এসেছে। এরআগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সালথায় গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী দেয়া উপহার সরকারি ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। রোববার সকালে সরেজমিনে মাঝারদিয়ার কুমারপট্টি কুমার নদের পাড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়- কয়েকটি ঘর নির্মাণের ইটের কাজ প্রায় শেষের পথে। এখন শুধু বাকি আছে উপরে টিনের ছাউনি আর জানালা-দরজার কাজ। এরই মধ্যে একটি ঘরের বারান্দার ডোয়া ভেঙ্গে পড়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আশপাশের লোকজন জানান- কুমার নদে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ঘরের মেঝ ভরাট করা হয়। এ সময় বালু মিশ্রিত পানির চাপে ঘরের ডোয়া হেলে পড়ে। এখানে শুরু থেকেই নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। যেকারণে সামান্য পানির চাপে ডাবল ইটের দুর্বল ডোয়া ফেটে ভেঙ্গে যায়। ঘরের মান ভাল হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপকারভোগীরা সাংবাদিকদের বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের মাথা গুজার ঠাই বানিয়ে দিচ্ছে। আমাদের স্বপ্ন তিনি পূরণ করছেন। আমরা তার কাছে ঋণী। তবে ঘর নির্মাণের মান ভাল হচ্ছে না। ঘরগুলো এমন ভাবে তৈরী করছে যার আশপাশে হাটাচলার মত ছাড়া কোন জায়গা রাখা হচ্ছে না। অথচ ২ শতাংশ জমিসহ ঘর দেয়ার কথা। আপনারা লেখালেখি করে কোন লাভ নাই। আগেও তো লিখছেন, তাতে কি হয়েছে, যা হবার তা তো হচ্ছেই। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ড্রেজারের শ্রমিক শেখ রাশেদের সাথে। তিনি এসময় বলেন, ড্রেজার দিয়ে বালু দেওয়ার সময় দলদলে মাটি ছিলো তো তাই ঘরের ডোয়া কাত হয়ে গেছে। পরে স্যার এসে মিস্ত্রিদের দিয়ে ইট খুলে ফেলে। ইউএনও অফিস সুত্রে জানা গেছে- সালথায় তৃতীয় ধাপে মোট ২৩৩টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণের জন্য ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ’ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ বিষয় বক্তব্য জানতে গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাছলিমা আক্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের ফোন কেটে দেন। তবে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায় সাংবাদিকদের বলেন- বিষয়টি খোজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ জুন ২০২২
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel