দিনাজপুরে ক্রিকেট প্রশিক্ষনার্থী এক মেয়েকে অপহরনের দায়ে সাবেক সিভিল সার্জন মৃত ডাঃ মশিউর রহমান ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দল দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি নাজমা মশির এর ছোট ছেলে মোঃ ওয়াহেদুন্নবী রনি সহ তার সহোযোগী গাড়ি চালক মোঃ শাহজাহান আলীকে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন আদালত। সনাতন ধর্মাবলম্বী অপহরনকৃত মেয়ের মা এর দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় গত ১৭অক্টোবর বিকাল আনুমানিক ৩টার সময় তার মেয়ে ক্রিকেট প্রশিক্ষন নিতে দিনাজপুর শহরের গোরে এ শহীদ বড় ময়দানে যায়।সেখানে ক্রিকেট প্রশিক্ষন শেষে বাড়ী ফেরার পথে সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে শহরের ঈদগাহ আবাসিক এলাকার সাবেক সিভিল সার্জন মৃত ডাঃ মশিউর রহমান ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দল দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি নাজমা মশির ছেলে ও তার সহযোগী শহরের মিশন রোড রেল কলোনী এলাকার আব্দুস সামাদ এর ছেলে মোঃ শাহাজাহান আলী পরসপর যোগসাজোস করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাদিনীর মেয়েকে বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে ফুসলিয়ে একটি অজ্ঞাত নামা প্রাইভেট কারে উঠিয়ে অপহরন করে অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে যায়।ঐ দিন অনেক খোজাখুজির পর না পেয়ে পরদিন ১৮ অক্টোবর সকালে লোক মারফত জানতে পেরে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার এসআই বাদল কুমার মন্ডলের সহোযোগিতায় উপরোক্ত আসামীদের কবল থেকে লোক মাধ্যমে বাদিনীর মেয়েকে উদ্ধার করা হয়।এবং ঐ সময় এস আই বাদল কুমার মন্ডলসহ তার সংগীয় ফোর্স ঈদগাহ আবাসিক এলাকার সিএন্ড বি মোড় থেকে উপরোক্ত আসামীদের আটক করে কোতয়ালি থানায় নিয়ে আসে।দিনাজপুর কোতয়ালি থানায় বাদীনীর দায়েরকৃত এজাহারের পরিপেক্ষিতে উপরিউক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ অনুসারে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অপহরন ও সহায়তা করার করার অপরাধে একটি মামলা রুজু হয়।যাহার মামলা নাম্বার ৩১।১৯অক্টোবর সকাল ১১টায় অপহরনকৃত মেয়ের মেডিক্যাল টেস্ট এবং আদালতে জবানবন্দি শেষে তার মায়ের হেফাজতে দেয়া হয়।আর আসামী মোঃ ওয়াহেদুন্নবী রনি ও মোঃ জাহজাহান আলীকে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়।বাদিনী সাংবাদিক প্রতিনিধিদের আরো অভিযোগ করে বলেন যে আমার স্কুল পড়ুয়া ও ক্রিকেট প্রশিক্ষনার্থি মেয়েকে যারা অপহরন করেছে তারা বিভিন্ন ভাবে আমার মেয়েকে লোভ লালসা দেখিয়ে আসত।আসামীরা মাদকাসক্ত এবং আমার মেয়েকেও অপহরন করে নেশায় আসক্ত করে রেখেছিল।সুস্থ সুন্দর ভাবে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখা মেয়টির ভবিষ্যত অংকুরেই বিনষ্ট করে দিল এই নরপিশাচরা।সদা হাস্যজ্জ্বল চেহারায় লেপে দিল মলিনতার ছাপ।আমার মেয়েকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মোহে আকৃষ্ট করে তার অন্তরে গেথে থাকা প্রতিষ্ঠিত হবার লালিত স্বপ্নকে যারা এভাবে চিরতরে নিভিয়ে দিল আমি তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।যেন ভবিষ্যতে আর কোন মেয়েকে তাদের প্লোভোনে বশিভূত করে বেড়ে উঠার সুপ্ত প্রতিভাগুলোকে অংকুড়েই বিনষ্ট করতে এবং কলংকের কালিমা লেপে দিতে না পারে।