গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট থেকে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বখাটে ছেলে তার সঙ্গীরা। অপহরণে কলেজ ছাত্রীর সহপাঠীরা ৯৯৯ জানানোর সাথে সাথে সাড়াশি অভিযানে নামে ধাপের হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি চৌকস টিম। অভিযানের ১৫ ঘন্টা পর রংপুরের পীরগঞ্জের ৬নং টুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধার করলে কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সহপাঠীরা সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ সেরাজুল হক কে ১ মার্চ সকালে ফুলেল শুভেচছা ও অভিনন্দন জানায়। অপহণকারীর মূল হোতা বাজে কাসিমপুর গ্রামের মৃত: শাহাজাহান ডাক্তারের পুত্র আরমান। এসময় তাকে সহযোগিতা করে ও তার সঙ্গীরা। জানা যায়, গত ২৭( রবিবার) ফেব্রুয়ারী সকাল দশটার দিকে মেয়েটি বান্ধবীদের সাথে প্রাইভেট পড়ার জন্য যাচ্ছেলেন। এমন সময় তালের দিঘী ইসলাম পুর নামক স্থান থেকে তার সহপাঠিদের মারপিট করে জোর পৃর্বক সাদা রংগের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় মেয়েটিকে। ওই কলেজ ছাত্রীর সহপাটিরা ৯৯৯ লাইনে ফোন দিলে সাথে সাথে পুলিশ ভিকটিম উদ্ধারে মাঠে নামেন। অবশেষে অপহরনের ১দিন পর পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। মেয়েটির মা জানিয়েছেন পীরগঞ্জের আরমান আমার মেয়েকে অপহরন করেছে। ইতিপৃর্বেও ঐ বখাটে আরমান আমার মেয়েকে জিম্মী করে বিয়ের নাটক সাজিয়ে ছিলো অনেক কষ্টে আমার মেয়েকে সেখান থেকে মুক্ত করে এনে কলেজে ভর্তি করে দিয়েছি। কিন্তু ঐ আরমান আবার পুনরায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি তার বিচার চাই। এ বিষয়ে ধাপের হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল হক বলেন, অপহরনের বিষয়টি জানার সাথে সাথেই উন্নত তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা তাদের অবস্হান সনাক্ত করতে সক্ষম হই, পুলিশি নজরদারী রাখি ঐ এলাকায়,সোমবার দুপুরে ভিকটিম কে উদ্ধার করি এ সময় পুলিশের উপস্হিতি টের পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়, পীরগঞ্জের টুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি বাড়ী থেকে ভিকটিম কে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এবং মেয়ের অভিভাবকদের পরামর্শক্রমে বিজ্ঞ আদালতে জবাবদিহি সম্পন্ন করতে তার জবানবন্দি সহ ডাক্তারী পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।