মোঃ জাফিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ | মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ | প্রিন্ট
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকরে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন। সকাল থেকে সড়ক মহাসড়কের বেড়েছে মানুষের চলাচল। মোটর সাইকেল, ইজিবাইক, রিক্সাযোগে চলাচল করছে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। সোনাতনপুর পুলিশ ক্যাম্পের পাশের বাজারেই মানছে না লকডাউন,পুলিশ বলছে,মানবিক পুলিশে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, সকাল থেকে প্রয়োজন ব্যাতিত চলাচল রোধে উপজেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামের নির্দেশে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা মোটর সাইকেল আরোহী থেকে শুরু করে সব ধরনের যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রীদের যাচাই করছে। হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা সরোজমিনে হ্যান্ড মাইক হাতে মাঠে থাকলেও স্থানীয় দুই একটি ক্যাম্পগুলোর রয়েছে নড়বড়ে অবস্থা। সরোজমিনে উপজেলার ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নের সোনাতনপুর পুলিশ ক্যাম্প সংযুক্ত সোনাতনপুর বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কোন দোকান পাঠইবন্ধ নয়। এ যেন মামার বাড়ী ভাগিনার আব্দার।
এ ব্যাপারে সোনাতনপুর ক্যাম্প ইনচার্জ দিপঙ্কর মালাকর বলেন,রাতে ডিউটি করেছি একটু বিশ্রাম নিচ্ছি,তাছাড়া মানবিক পুলিশে সরকারের দেওয়া লকডাউন বাস্তবায়ন করা সম্ভাব নয়। তাছাড়া আমরা গেলে দোকানপাট বন্ধ হচ্ছে আবার পিছন ফিরে তাকালে সবি খোলা রাখছে। এসময় তাকে ক্যাম্পসংযুক্ত সোনাতনপুর বাজারের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ব্যাপারটি বারবার এড়িয়ে দখলপুর এলাকার কথা তোলেন,অবশেষে তিনি বাজারের ব্যাবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন। তবে এব্যাপারে একই ক্যাম্পে দ্বায়িত্বে নিযুক্ত থাকা এএস আই কাজী বায়োজিত বলেন,সকলের চেষ্টা এবং সচেতনতা বাড়ালে লকডাউন বাস্তবায়ন করা কেন সম্ভাব নয়। এদিকে সড়ক মহাসড়কে কিছুটা নিয়ন্ত্রন করা গেলেও হাটবাজারে নেই লকাডাউনের চিহ্ন। সামাজিক দুরুত্ব না মেনে মাস্ক পরিধান না করেই কেনা বেচা করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। স্থানীয় দোকানপাট বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার নিয়ম থাকলেও চলছে তা সন্ধার পর পর্যন্ত আর চায়ের দোকান তো চলছে ঝাপ বন্ধ করে।
Posted ৩:১১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।