
নিজস্ব প্রতিবেদক: | শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ | প্রিন্ট
সরকারি চাকরি বিধিমালার স্পষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে কপিরাইট পরীক্ষক হিসেবে কর্মরত থেকে একইসঙ্গে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সৈয়দা নওরিন জাহান নিশা। এ ধরনের দ্বৈত ভূমিকা সরকারি বিধির পরিপন্থী হলেও কোনো কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সরকারি চাকরিজীবীদের অন্য কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকা বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ আইনত নিষিদ্ধ হলেও নওরিন জাহান নিশা বছরের পর বছর ধরে ঢাকা আইনজীবী সমিতির (বার) সক্রিয় সদস্য হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ঢাকা বারের সকল বকেয়া পরিশোধ করেছেন। তার বার মেম্বারশিপ আইডি নম্বর ১৫৯৬৪, এবং বারের ওয়েবসাইটে এখনও তিনি ‘অ্যাকটিভ মেম্বার’ হিসেবে তালিকাভুক্ত।
সূত্র জানায়, তার পিতা বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় এবং প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদে থাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এমনকি, তার নানা অনিয়ম ও কর্মকাণ্ড নিয়ে এক আইনজীবী লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, কপিরাইট পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বর্তমানে ‘প্রশাসন অতিরিক্ত’ পদেও দায়িত্ব পালন করছেন, যদিও ২০০৯ সালের কপিরাইট অফিসের বিদ্যমান নিয়োগবিধিতে এমন কোনো পদ নেই। অফিসের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সাবেক রেজিস্ট্রার দাউদ মিয়া বদলি হওয়ার পর তিনি অফিসের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার লক্ষ্যে একাধিক বিতর্কিত অফিস আদেশ করিয়েছেন। এমন একটি আদেশ সংক্রান্ত মোবাইল কল রেকর্ড প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
এছাড়া, কপিরাইট অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক, যিনি নিজেও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত থাকা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেননি।
অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মচারী জানিয়েছেন, নওরিন জাহান, ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবং সহকারী প্রোগ্রামার আব্দুল গাফফার একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তাদের ইচ্ছার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ফোন দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
Posted ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
dainikbanglarnabokantha.com | Shanto Banik
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।