শেরপুরে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার কর্তৃক ঘোষিত কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিনেও পৌরশহর সহ আশ-পাশের বিভিন্ন জনসমাগম পূর্ন্য এলাকায় চলমান রয়েছে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান।
শেরপুর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখা ও বিনা কারনে ঘুরাফেরা করায় একাধিক অভিযান পরিচালনায় কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।
৬ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন মাত্রায় জরিমানা সহ কয়েক জনকে আটক করা হয়।
এসব অভিযান পরিচালনা করেন শেরপুর সদর উপজলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ আল-মামুন।এ দিকে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সচেতনার ফলস্বরুপ শহর ও গ্রামের , নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
০৬ জুলাই (মঙ্গলবার ) সকাল থেকে শেরপুরের বেশ কিছু সড়ক ও বাজারে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ আল-মামুন সহ সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাড়ি টহল দিচ্ছে শহরের প্রধান,প্রধান সড়ক এবং শহরের আশপাশের বাজার গুলোতে। লকডাউনের সব দিনের মতো প্রশাসনের কড়া অবস্থানের কারণে অনেকেই আজ ঘর থেকে বের হননি।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরোজ আল-মানুন বলেন, জনসাধারণকে সরকারি বিধি-নিষেধ মানাতে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনও করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের হার কমাতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানেই থাকবে।

এই করোনা সংকট মহুর্তে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ঘরেই থাকার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন বিনা কারণে বাড়ী থেকে কোন অবস্থাতেই বের হওয়া যাবে না, তবে যাদের খাদ্য সংকট হবে তারা যদি আমাদের জানান তাহলে তাদের খাদ্যসহায়তা প্রধান করা হবে।
এ সময় তিনি সকল জনসাধারণ কে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান।