শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরে নিজ বাড়িতে ঢুকে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করে থানা পুলিশে এলাকাবাসী ও ছাত্রীর স্বজনরা।৩১মে সোমবার রাতে শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের খরখরিয়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।উক্ত ঘটনায় ১লা জুন মঙ্গলবার দুপুরে ঐ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।মামলার এজাহারে জানা যায়, টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে (২০) প্রায় এক বছর যাবত উত্ত্যক্ত করে আসছিল শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া গ্রামের মৃত জিয়াউল ইসলামের ছেলে মোঃমিনহাজ আলী। তাকে বিভিন্ন ভাবে নিষেধ করার পরও তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণের হুমকি দেন। এরপর সোমবার রাত ৯টার দিকে মিনহাজ তার দুই বন্ধু রুমান ও বাপ্পীকে সাথে নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে তাকে টেনে-হিঁচড়ে অপহরণের চেষ্টা করে।এসময় ছাত্রীর ডাক চিৎকারে তার স্বজন ও আশপাশের লোকজন মিনহাজ ও রুমানকে আটক করে। এসময় মিনহাজ তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ওই ছাত্রীর বাবাকে আঘাত করতে গেলে স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে আটককৃতদের থানায় নিয়ে যায়।এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি অপহরণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে ছাত্রীর স্বজনরা মারধর করায় সে হাসপাতালে রয়েছে।অপর দিকে মিনহাজ জানায়, মেয়েটির সাথে তার দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গতকাল রাতে মেয়েটি তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে বলে। পরে মেয়ের আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে মারপিট করে পুলিশে দেয়।