শেরপুর সদর উপজেলার ৮নং লছমনপুর ইউনিয়নে অতিদরিদ্র কর্মসূচির (ইজিপিপি) প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ের কাজে শ্রমিক উপস্থিতি খুবই কম।এলাকার স্থানীয় অতিদরিদ্র ও মৌসুমী বেকার অদক্ষ শ্রমিকদের দিয়ে এ কাজ করানোর নিয়ম থাকলেও তালিকায় গ্রাম পুলিশ সহ মেম্বারদের নিজস্ব লোকজনের নামও দেয়া হয়েছে।যাদের নাম দেয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগই থাকেন অনুপস্থিত। শেরপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়,২০২১-২০২২ অর্থ-বছরে জনসংখ্যা ও আয়তনের উপর ভিত্তি করে লছমনপুর ইউনিয়নের জন্য মোট শ্রমিক বরাদ্দ করা হয়েছে ৩১০জন।প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য বরাদ্দ ১৬,০০০টাকা,যার প্রেক্ষিতে ইউনিয়নের জন্য মোট বরাদ্দ হয়েছে ৪৯,৬০,০০০টাকা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়ম কারণে সরকারের কর্মসৃজনের উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ায় প্রকৃত শ্রমিকরা অনেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তালিকা সংশোধন করে প্রকৃত শ্রমিকদের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবী জানিয়েছেন হতদরিদ্র ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের লছমনপুর ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ে চারটি প্রকল্পের নাম থাকলেও কাজ হচ্ছে না প্রকল্প অনুযায়ী।গত ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে প্রকল্প গুলোর কাজ শুরু হয়েছে। ১নং প্রকল্প লছমনপুর খালেক মেম্বারের বাড়ি হতে বড় ঝাউয়ের সরকারি (প্রাঃ) বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজে বরাদ্দকৃত শ্রমিক সংখ্যা ১০০জন।সরেজমিনে কার্যরত অবস্থায় প্রকল্পে পাওয়া যায় ৫৭জন।প্রকল্পের বাইরে অন্যত্র স্থানে আরো ২৯জন শ্রমিকে কার্যরত অবস্থায় পাওয়া যায়।মোট উপস্থিতি ৮৬জন। ২নং প্রকল্প কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া সরাফতের বাড়ি হতে রুহুল আমীনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজে শ্রমিক বরাদ্দ ৭৫জন।কার্যরত অবস্থায় পাওয়া যায় ৫১জন। ৩নং প্রকল্প হাতী আগলা মোজামের দোকান হতে আঃ গফুরের দোকান পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজে শ্রমিক বরাদ্দ ৫৫জন।কার্যরত অবস্থায় পাওয়া যায় ৩২জন। ৪নং প্রকল্প ঘিনাপাড়া খোকার বাড়ী হতে জিয়ার আলীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজে শ্রমিক বরাদ্দ ৮০জন।সরেজমিনে কার্যরত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০জন। ইউনিয়নে সর্বমোট শ্রমিক উপস্থিতি ছিল ২০৯জন।প্রকল্পে উপস্থিত শ্রমিকদের ভাষ্যমতে কিছু শ্রমিক অসুস্থ আছে।মোট অনুপস্থিতি সংখ্যা ১০১জন। এব্যাপারে স্থানীয় ইউ.পি চেয়ারম্যান মোঃ আঃ হাই এর সাথে কথা বলতে গেলে ব্যাস্ততা দেখিয়ে কৌশলে চলে তিনি।তার মতে সাবেক ৩নং ওয়ার্ডে ভালো কাজ হচ্ছে।আবার শ্রমিকদের হাজিরা খাতার চিত্র আলাদা। এব্যাপারে ইউপি সচিব(অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন,আমি দুটি ইউনিয়নে কাজ করি,লছমনপুর ইউনিয়নে প্রকল্পের কাজ গুলো এখনো সরেজমিনে দেখা এখনো আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের একাধিক শ্রমিক বলেন,আমরা নিয়মিত কাজ করছি অথচ অনেকে কাজ না করলেও তাদের হাজিরা করানো হয়।গ্রাম পুলিশরা কাজ না করলেও মাঝে মধ্যে কাজ পরিদর্শনে আসেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খবিরুজ্জামান খান বলেন,অফিস থেকে আমরা প্রকল্পের কাজ গুলো নিয়মিত তদারকি করছি।আমরা আবারও দেখবো তবে যারা কাজ করছে না তারা কোন অবস্থাতেই বিল পাবে না।