নিজস্ব প্রতিবেদক: | বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
এখনো সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বান্ধবীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক।
বৃহস্পতিবার(৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে অন্তবর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্র শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন,’
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবু সাঈদের রক্তের গন্ধ এখনো শুকায়নি এর মধ্যেই এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদেরকে অশান্তিতে রাখার আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি।ডক্টর ইউনুস সরকারকে এখনো রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে।এখনো শেখ হাসিনার বান্ধবীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন।এখনো গুলি করার লোক মেহেদী বিএনপি অফিস ভাঙ্গার নায়ক মেহেদী,হারুন বিপ্লব রা কোথায়?এই মহানগরে এখনো অনেক অসৎ পুলিশ কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে আছেন আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানাবো এদেরকে যদি আইনের আওতায় না নিয়ে আসেন মানুষ হতাশ হবে। মানুষ কষ্ট পাবে।
সাবেক এই বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন,’ ৪০ লক্ষ মামলা কাঁদে নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ১৬ বছর খুনী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে লড়াই করেছে।যার কারণে অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে ইলিয়াস আলী চিরতরে বিদায় নিয়েছে কিনা জানিনা,চৌধুরী আলমের লাশ এখনো আমরা পাইনি হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন,’৫ আগস্টের পরে আমরা দেখতে পাচ্ছি কেউ কেউ যেন একটা কিছু ঘটানোর ষড়যন্ত্র করছে।যারা রাজনীতি করেন বিগত দিনে মাঠে ছিলেন যাদের নেতাদেরকে শেখ হাসিনা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছে আমাদের নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ও ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে ছিলেন আজকে আবার যখন ডক্টর ইউনুস রাজনীতির সুযোগ করে দিলেন,রাজনীতি করার সুযোগ করে দিলেন ছাত্র জনতা যে ছাত্র জনতার রক্তে রঞ্জিত এখনো দেশ।যাদের নির্দেশে শত শত নিরীহ ছাত্রদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সেই খুনের নির্দেশ দাতা শেখ হাসিনাকে কেন কিভাবে ক্ষমা করা হয় রাজনৈতিকভাবে আমি বুঝে উঠতে পারছি না।
শেখ হাসিনার ক্ষমা নেই মন্তব্য করে ফারুক বলেন,’ খুনি হাসিনার ক্ষমা নাই।খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচার করতে হবে।বাংলাদেশে যে সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তা শেখ হাসিনার নির্দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুলি চালিয়েছে তাদের মধ্যে যারা এখনো বহাল তবিয়তে আছে কার কাছে আছে জানিনা তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।তা না হলে ছাত্র সমাজের যারা আত্মহতি দিয়েছে শান্তি পাবে না
তিনি আরও বলেন,আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন আমি চুরি করে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না আমি মৃত ব্যক্তির ভোটে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না,আমি বাংলাদেশে এক মাথা এক ভোটে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে যেতে চাই।
সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা,ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন,ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান,মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী,
অ্যাডভোকেট মাইনুউদ্দীন মজুমদার,আমির হোসেন বাদশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Posted ৫:৪৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।