টি.এম.এ হাসান, সিরাজগঞ্জ: | শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে অবরোধ ও আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এমনকি তিন দিন হলো ভিতরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল ভিসিসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে। কিন্তু আজ শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা মুঠোফোনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এতে শিক্ষামন্ত্রী তাদের আন্দোলন বন্ধ করার আহবান জানিয়ে তার ওপরে আস্থা রাখতে বলেন। পরে তারা সিধ্যান্ত নিয়ে দুপুর ১২ টার দিকে আন্দোলন শিথিলের এই সিধ্যান্ত নেয়। আন্দোলনের মুখপাত্র অর্থনীতি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী এ.কে.এম নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে ও তদন্ত কমিটির ওপরে আস্থা রেখে আপাতত সকল প্রকার অবরোধ ও আন্দোলন শিথিল করছি। তবে অফিস চলাকালীন সময়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। তবে যদি আমাদের দাবি না মানা হয় সেক্ষেত্রে আমরা আবার আন্দোলনে যাবো। অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল প্রকার পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আন্দোলন স্থগিত করার আগ পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের ভিতরে ভিসিসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে ৩দিন হলো অবরুদ্ধ করে রেখেছিল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। অবস্থান নিয়েছিল প্রশাসনিক ভবনের সামনেই। তবে এবিষয়ে রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও ৫সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ এর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় সেই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে অনশণ, অবরোধ ও আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এসময় সর্বমোট ৫জন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাও নিয়েছে।
Posted ১২:৩৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।