
শরীয়তপুর প্রতিনিধি: | বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট
শরীয়তপুর সদর দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। এ দুই কমিটি নিয়ে দলিল লেখকদের মাঝে বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে পালং মধ্য বাজারে আবুল কাশেম (ভেন্ডার) ও আব্দুস সামাদ বেপারী নেতৃত্বাধীন ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি সংবাদ সম্মেলনে করে সাগীর হোসেন ভূইয়া ও মফিদুল ইসলাম পাহাড়ের নেতৃত্বাধীন ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। আর সাগীর ভূইয়ার নেতৃত্বাধীন কমিটিও পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন-
২ জানুয়ারি গঠিত শরীয়তপুর সদর দলিল লেখক সমিতির আহবায়ক আবুল কাশেম (ভেন্ডার) ও সদস্য সচিব আব্দুস সামাদ বেপারী। তারা অভিযোগ করে বলেন- সদরের সকল দলিল লেখকদের মতামত নিয়ে এই আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে, গত ১২ জানুয়ারি কিছু সংখ্যক দলিল লেখক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে ভুল তথ্য দিয়ে অল্প কয়েকজন দলিল লেখকদের কে নিয়ে হঠাৎ এক ঘন্টার মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেছে। যা কোন ক্রমেই সাংগঠনিক বিধি মোতাবেক হয় নাই।
বিধায় আমরা আহবায়ক কমিটি সহ সাধারন দলির লেখক বৃন্দ তাদের কমিটিকে প্রত্যাখ্যান ও অনাস্থা জ্ঞাপন করলাম। এই কমিটির সাথে মেজোরিটি সদস্যদের কোন সম্পর্ক নাই। আমরা সম্মানিত সকল দলিল লেখকদের নিয়ে শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিবো। এছাড়াও সাবেক সভাপতি নুরুল হক মাল সাধারণ দলিল লেখকদের জিম্মি করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ করেছে, তার নামে দুদুকেও মামলা রয়েছে। এগুলো আপনাদের দেখতে হবে।
অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ করে ১২ জানুয়ারি গঠিত শরীয়তপুর সদর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সাগীর হোসেন ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মফিদুল ইসলাম পাহাড় বলেন, নড়িয়া সাব রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক আবুল কাশেম মিয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বাংলাদেশ দলিল লেখক সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৩পাতার ২বিধি অনুযায়ী অন্য উপজেলার সাব রেজিস্টারে দলিল লেখে এমন কেউ এই (শরীয়তপুর সদর) কমিটি সদস্য বা আহবায়ক হতে পারবে না। আবুল কাশেমের আহবায়ক কমিটির সম্পূর্ণ অবৈধ। সাধারণ দলিল লেখকদের সমন্বয়ে আমাদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দলিল লেখকদের কল্যাণে কাজ করে যাবে। কোনো ষড়যন্ত্র করে সফল হওয়া যাবে না। কারণ, সংগঠন গঠন মেনে চলে, ব্যক্তিস্বার্থে নয়।
এদিকে, শরীয়তপুর সদর দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি নুরুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন কথা বলে। তারা আমার সুনাম নষ্টের চেষ্টা করছে। তবে তারা সফল হবে না। আমি দলিল লেখক পেশা ছাড়াও জমি বেচাকেনা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সরকারি নিয়মনীতি মেনে সব কাজ করি। তাই অপপ্রচার করে লাভ হবে না ইনশাআল্লাহ।
Posted ৯:২৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।