শুক্রবার ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

শচীন্দ্র কুমার রাজবংশীর নেতৃত্বে দূর্নীতির মহা আখড়া সনমানিয়া ভূমি অফিস

কাপাসিয়া প্রতিনিধি   |   সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২   |   প্রিন্ট

শচীন্দ্র কুমার রাজবংশীর নেতৃত্বে দূর্নীতির মহা আখড়া সনমানিয়া ভূমি অফিস

ভয়াবহ আর্থিক অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে রাজকীয় ফ্ল্যাট ও ব্যক্তিগত ব্যবহৃত গাড়ী ঢাকা মেট্রো- গ-১১-৩০৫১, এবং বিলাশ বহুল জীবন যাপন করছেন শচীন্দ্র কুমার রাজবংশী, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সনমানিয়া ইউনিয়ন, কাপাসিয়া, গাজীপুর। গাজীপুর রাজবাড়ী সরকারী মহিলা কলেজের পূর্ব পাশের্^ ১৫ ইঞ্জিনিয়ার্স ডেভেলপার্স, সাফা টাওয়ারে (ডি/১৭০, রাজবাড়ী রোড, জয়দেবপুর, গাজীপুর) ১০ম তলা বিশিষ্ট ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় সি ইউনিটে এল-৫ এর, ১৩০০ বর্গফুটের ১টি ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। যাহার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ১ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, কাপাসিয়া উপজেলাধীন আড়াল বাজারের পেরি ফেরী নক্সার অর্ন্তভূক্ত চান্দিনা ভিটি মোঃ আনোয়ার হোসেনের নামে ২০০১ইং হইতে বরাদ্ধকৃত ভিটি ব্যাক্তিগত লেনদেন এর মাধ্যমে লাভবান হয়ে জনৈক মোঃ মোখলেছুর রহমান মৃধার নামে লীজ মানি গ্রহন করেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো বরাদ্ধ বাতিল না করে ২য় ব্যক্তির নামে বরাদ্ধ দেন কিভাবে? অর্থাৎ মোঃ আনোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ ফরম নং- ২২২, বহি নং- এম-৩৪১০০, পৃষ্ঠা নং-০৬, টাকার পরিমান=২৯২৫/- টাকা বাংলা-১৪২৮/ইং-২০২১ইং পর্যন্ত তাং- ১৮/১১/২০২১ইং লীজ মানি পরিশোধ করেন। অন্যদিকে মোঃ মোখলেছুর রহমান মৃধা, বাংলাদেশ ফরম নং- ২২২ বহি নং- এম-৩৪১০০, পৃষ্ঠা নং-১৮, তাং-১৩/১২/২০২১ইং, টাকার পমিাণ= ৪১৯৫/- টাকা লীজ মানি পরিশোধ করেন। এখানে প্রশ্ন হলো এক মাসের ব্যবধানে একই চান্দিনা ভিটির বিপরীতে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে কিভাবে লীজ মানি গ্রহণ করা হলো? তাহা বোধগম্য নহে। ইহা ছাড়াও কাঁচারী বাড়ির পুকুর, আর.এস ১৮০৫ দাগে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে জনৈক জনাব কাজল বেপারী, পিতা- জনাব আফছার উদ্দিন বেপারী, সাং আড়াল, কাপাসিয়াকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে লীজ প্রদান করেন। আর.এস ১৮২৪ দাগে পেরী ফেরি নক্সায় তোহা বাজার, নক্সা বিকৃত করে চান্দিনা ভিটিতে রূপান্তরিত করে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ১২টি দোকান বরাদ্ধ প্রদান করা হয়। আর.এস. ১৮০১ দাগে মোট জমির পরিমাণ ৩৮ শতাংশ, তার মধ্যে ব্যক্তি মালিকানা ১৪ শতাংশ, বাকী ২৪ শতাংশ সম্পূর্ণ সরকারী খাস জমি, যাহা পেরী ফেরি নক্সার বাহিরে। কিন্তু ঐ খাস জমি মৌখিক নির্দেশে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে দক্ষিনগাঁও গ্রামের জনৈক জনাব খোরশেদকে স্থাপনা তৈরী করার অনুমতি প্রদান করেন। এক্ষেত্রে কোনপ্রকার আইনের তোয়াক্কা করা হয়নাই। অত্র এলাকার বাসিন্দা জনৈক ওয়াহিদ, পিতা- মৃত: আঃ রহমান খান (গেদু পন্ডিত), সাং- আড়াল কাপাসিয়াকে সোর্স (দালাল) হিসাবে স্থানীয় ভূমি অফিস ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবৈধ লেনদেন ও অপকর্ম করিয়া আসিতেছে দীর্ঘদিন যাবৎ। যাহা তদন্ত করলে কেঁচো খুড়তে সাপ বের হয়ে আসবে। সরকারী কর্মচারী আচরন বিধিমালা- ১৯৭৯ অনুযায়ী পাঁচ বৎসর পর পর সম্পদের হিসাব বিবরনী জমা দেওয়ার নিয়ম অনুযায়ী শচীন্দ্র কুমার রাজবংশী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কি জবাব দিবেন?

Facebook Comments Box

Posted ৮:৫৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১০ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com