মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, মোহনপুর, (রাজশাহী)প্রতিনিধি : | মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই ২০২১ | প্রিন্ট
রাজশাহী অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী পুরাতন হাট মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট । এই হাটের প্রধান রাজস্ব আয় আসতো বিশাল গরু, ছাগলের হাট থেকে । দখলদারিত্বের কারণে গরু ছাগলের হাটটি ভেঙে গেছে। বর্তমানে গরু-ছাগলের হাটের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে ফার্নিচারের কারখানা। তবে গরু- ছাগলের হাট দ্রæত পুনরুদ্ধারের আশ্বাস দিয়েছেন কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এক সময় রাজশাহী অঞ্চলের গরু ছাগলের বিখ্যাত হাট হিসেবে পরিচিত ছিল কেশরহাট । এই হাটের মুল ভূখন্ড ৫২বিঘা হলেও জনসাধারণের চাহিদার কারণে বর্তমানে প্রায় দেড়শতাধিক বিঘা জায়গা জুড়ে বসে হাট। সপ্তাহে দুইদিন শনিবার ও বুধবারে বসে এই৷ হাট। জুয়েলার্স ও কুটির শিল্প অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে প্রতিদিন সকাল থেকে চলে জমকালো বাজার। আর এ হাটের রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস ছিল গরু ছাগলের হাট। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছিল গরু, ছাগলের হাট হিসেবে পরিচিতি। স¤প্রতি ছাগলের কিছুটা বেচাকেনা থাকলেও নেই গরুর হাট। তবে ক্রেতা-বিক্রেতারা বলেন, আগের তুলনায় অর্ধেক ছাগল হাটে আমদানি হয় না। কারণ হিসেবে তারা জানান, দালাল চক্রের প্রতারণা ও দৌরাত্মসহ দখলকারীদের থাবা। গরুর হাটকে চারপাশ থেকে চেপে ধরেছে ফার্নিচার কারখানা ও হোটেল ব্যবসায়ীরা। এ জন্য গরু-ছাগলের হাটের আয়তন ৭০ ভাগ কমে গিয়ে হাটের জায়গা রয়েছ মাত্র ৩০ ভাগ। স্থানীয়রা বলেন , পৌর প্রশাসনের গুরুত্বহীনতার কারণে হাটের জায়গাটি দখল করে নিয়েছে দখলকারিরা। দ্রæত গরু-ছাগলের হাট রক্ষার দাবি জানিয়েছেন সর্বসাধারণ।
কেশরহাট পৌরসভা এলাকার জহির উদ্দিন নামের একজন কসাই জানিয়েছেন, এক সময় কেশরহাট গরু-ছাগলের হাট হিসেবে নামডাক ছিল। সারা দেশের পাইকাররা আসতেন এই হাটে গরু-ছাগল ক্রয় করতে। ট্রাক বোঝায় গরু সরবরাহ হতো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে হাটে প্রভাব বিস্তার করে দালালচক্র এবং প্রতারকচক্র। যার কারণে এ হাটে আসা বন্ধ করে দেয় বড় বড় পাইকাররা। এর ফাঁকে কৌশলে চলতে থাকে গরু হাটার জায়গা দখলের হিড়িক। কেশরহাট পৌরসভার মেয়র একনিষ্ঠ পদক্ষেপ নিলে গরু ছাগলের হাট পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা । গরু-ছাগল হাটের জায়গায় গণটয়লেট ভেঙ্গে দখল করে নিয়েছেন সাবেক পৌর কাউন্সিলর বিএনপি নেতা দানেচ্ছা আলী গাইন। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ বলেন, কেশরহাট একটি পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী হাট। দখলদারিত্বসহ প্রতারকচক্রের কারণে গরু-ছাগলের হাট ভেঙে গেছে। শুধু মাত্র ইঈ মৌসুমে ৪/৫টি অস্থায়ী গরু-ছাগলের হাট বসে। এজন্য সকল দখলদারি ঠেকাতে এবং গরু-ছাগলেট হাট পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অতিদ্রæত আগের মত গরু-ছাগলের হাট শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
Posted ৪:৫৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।