নিজস্ব প্রতিবেদক: | বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট
রাজশাহী পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে পরিবার পরিকল্পনা ভবনের সভাকক্ষে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যতার ভিত্তিতে টেকসই ও সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি’ প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ও শ্রেষ্ঠ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
এসময় পরিবার পরিকল্পনা রাজশাহী বিভাগের পরিচালক দেওয়ান মোর্শেদ কামাল এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগ পরিচালকের কার্যালয়ের (স্বাস্থ্য) উপপরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জামিলুর রহমান।
আলোচনা সভায় শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক ড. কস্তুরী আমিনা কুইন। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ হয়েছে পরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ফলে। জনসংখ্যা এখন অভিশাপ নয়। প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিনত করতে হবে। তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর।
তিনি আরো বলেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে বাড়ি-বাড়ি ঘুরে বিভিন্ন ধরনের উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়; যার উপরে ভিত্তি করেই পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে স্যাটেলাইট ক্লিনিক ও বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় ‘অডিও ভিজ্যুয়াল শো’ প্রদর্শন করা হয়েছে।
এসময় শ্রেষ্ঠ মেডিকেল কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মাহাবুবুল আলম, দূর্গাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আইশা নুসরাত জাহান, গোদাগাড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মো. আবু মাসুদ খান, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. তানিয়া ইয়াসমিন, মহিলা সহকারী সার্জন ডা. শারমিন সেলিনা সুলতানা, পরিবার পরিকল্পনা সমিতি বগুড়া শাখার কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান।
আলোচনা প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, সুস্থ-সবল জাতি গঠনের পরিবার পরিকল্পনার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে নারীদের অধিক হারে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্য, নারীর শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
Posted ৫:৩৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।