
মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন | শনিবার, ০১ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট
রাজশাহীতে গত এপ্রিল ও মে মাসে ৫৫ জন নারী ও শিশু বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছে।এরমধ্যে ৩৮ শিশু ও নারী ১৭ জন।
শনিবার (৩১ মে) উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
লফস জানায়, এপ্রিল ও মে, ২০২৪ মাসে অমানবিক কিছূ ঘটনার মধ্যে- নগরীতে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার, বাঘা উপজেলায় এক স্কুল ছাত্রী (১৪) ধর্ষণের শিকার, নগরীতে মিমি (২৫) নামে এক নারী আত্মহত্যা, দুর্গাপুরে বিয়ের দাবিতে রাবেয়া খাতুন (২২) নামে এক নারী প্রেমিকের বাড়িতে অনশন, পুঠিয়া উপজেলায় বেদেনা বেওয়া (৬০) নামে এক নারী কে হত্যা, নগরীতে এক নারী যৌন হয়রানির শিকার, বাঘা উপজেলায় রেহেনা বেওয়া (৫২) নামে এক নারী কে হত্যর অভিযোগ জামাই এর বিরুদ্ধে, পবা উপজেলায় তানভীর হোসেন তাসিন (১৩) ও আবির ইসলাম শান্ত (১২) নামে দুই মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ, গোদাগাড়ি উপজেলায় পুলিশের পরিচয় দিয়ে চার জন মিলে এক কিশোর কে তুলে নিয়ে যেয়ে পরিবারের কাছে মুক্তি পণ দাবী, পবায় রিসলাত রায়নাল (১০) নামে এক শিশু নিখোঁজ, তানোরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক তরুণী (১৮) কে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ খালূর বিরুদ্ধে, নগরীতে ১০ বছরের কম বয়সী ৩০ জন ছাত্র শিক্ষক দ্বারা বলাৎকারের শিকার, নগরীতে এক কলেজ ছাত্র অপহরণ, বাঘায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এক নারীর, রাবিতে ক্যান্টিন মালিকের বিরুদ্ধে কর্মচারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, তানোরে এক নারী নির্যাতনের শিকার, গোদাগাড়িতে সুরভি খাতুন (২৮) কে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, চারঘাটে গণ ধর্ষণের শিকার এক নারী, নগরীতে যৌন হয়রানির শিকার এক তরুণী, তানোরে পারুল নামে এক নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা, নগরীতে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে , নগরীতে রওশন আখতার (৫৮) নামে এক নারীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ, বাগমারা উপজেলায় শাবানা নামে এক নারী নিখোঁজ, গোদাগাড়ি উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণণের চেষ্টার আভিযোগ তার ভাসুরের বিরুদ্ধে।
লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়।রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক।রাজশাহী অঞ্চলে নারী-শিশু নির্যাতন সহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী জানান।
উল্লেখ্য, উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) অত্র জেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে লফস সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেল থেকে রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে।
লফস মনে করে, অত্র অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারনে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে।এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে।বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়।
Posted ৬:৪৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০১ জুন ২০২৪
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।