
| বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ঘাটারচর এলাকায় ‘মিলেনিয়াম সিটি’ আবাসন প্রকল্পের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। হামলার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম। এ সময় হামলাকারীরা রাজউকের গাড়ি ও এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) ভাঙচুর করে।
মিলেনিয়াম সিটির ভেতরে অরবিট নামে ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড এক্সকাভেটর দিয়ে অপসারণকালে ১০–১২ ব্যক্তি বাধা দেন। রাজউকের কর্মকর্তারা তাঁদের বাধা উপেক্ষা করে অভিযান চলমান রাখেন। একপর্যায়ে ৩০ থেকে ৩৫ ব্যক্তি জড়ো হয়ে এক্সকাভেটর চালক জহিরুলকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় তাঁরা রাজউকের কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত ও দুই সাংবাদিককে মারধর করেন।
গত বছরের ২২ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের টোটাইল খালসংলগ্ন নিচু কৃষিজমি ও জলাশয়ে মাটি ভরাট এবং অননুমোদিত ‘মিলেনিয়াম সিটি’ আবাসন প্রকল্পের সর্ব কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত খাল ও খালসংলগ্ন নিচু কৃষিজমি-জলাশয়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ও আবাসন প্রকল্পের মাটি ভরাটের ফলে খালের ক্ষতি নিরূপণ করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। টোটাইল মৌজায় অবস্থিত জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল ও নিচু কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন প্রতিরোধ বিষয়ে ব্যবস্থা জানিয়েও প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
আহত এক্সকাভেটর চালক আবদুল খালেক বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি উচ্ছেদের কাজ করছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত বৃষ্টির মতো তাঁর ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় এক্সকাভেটরের কাচ ভেঙে তাঁর ডান পায়ে ঢুকে যায়। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
তবে হামলা চালানোর অভিযোগের বিষয়ে মিলেনিয়াম সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাজউদ্দিন সরকার বলেন, ‘ব্যক্তিগত কাজের কারণে আজ সকাল থেকে আমি অন্যত্র ছিলাম। কে বা কারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে, কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।’
রাজউকের অভিযানে দায়িত্বরত কেরানীগঞ্জের আটিবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক আনোয়ার রহমান বলেন, ‘আজ দুপুর ১২টার দিকে আমরা রাজউকের অভিযানের বিষয়টি জানতে পেরেছি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিল। দুর্বৃত্তরা এক সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা তৎক্ষণাৎ ক্যামেরাটি উদ্ধার করেছি।’ তিনি বলেন, ‘হামলাকারীদের সমাগম বেশি ছিল। আমাদের পুলিশ ফোর্স যথেষ্ট চেষ্টা করেছে।’ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রাজউকের উচ্ছেদ অভিযানের চিঠির বিষয়ে তিনি জানেন না। সকালে তাঁদের একটি জরুরি সভা ছিল। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Posted ১০:২৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
dainikbanglarnabokantha.com | Fahim Farhan
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।