মোঃ তোফাজ্জল হোসেন,(মোহনপুর, রাজশাহী): | মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১ | প্রিন্ট
রাজশাহীর মোহনপুরে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা আত্মসাত, দোকানঘর দখলের অভিযোগ ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর আপন বড়ভাই। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) মোহনপুর প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী মুঞ্জুর কাদির মিঠু তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুঞ্জুর কাদির মিঠু। বক্তব্যে উল্লেখ করেন তার আপন ছোটবোন মোহনপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা রহমান রিক্তা ক্ষমতার দাপটে বড়বোনের দুই ছেলেকে লেলিয়ে দিয়ে আমার ও আমার পরিবারের উপর হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাননি। ভোক্তভোগী মিঠু বর্তমানে তাঁর স্ত্রী-শিশু সন্তান নিয়ে চরম সমস্যার মধ্যে রয়েছেন ।
সংবাদ সম্মেলনে মুঞ্জুর কাদির মিঠু বলেন, কিশোর বয়সে পরিবারকে ভাল রাখা জন্য সৌদি আরবে যান। আয়ের সম্পূর্ণ টাকা বাবা-মা ও তিন বোনের পিছনে ব্যয় করেন। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মিঠু বলেন, ২০১২ সালে দেশে ফিরে বিয়ে করি। ব্যবসা করার জন্য মোহনপুর সদর বাজার বাকশিমইল জামে মসজিদের একটি দোকানঘর দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা জামানত দিয়ে ভাড়া নেয়। ব্যবসার মালামাল ক্রয় করার জন্য বড়বোনের ছেলেকে দশ লক্ষ টাকা প্রদান করেন মিঠু।
ব্যবসার লোকসানের কারণে ভাগনাকে বাদ দিয়ে কমচারি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে আবারও স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে সৌদি আরবে চলে যান মিঠু। বিদেশে যাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় ছোটবোন রিক্তার যোগসাজসে বড়বোনের দুই ছেলে কর্মচারীর কাছ থেকে জোরপূর্বক দোকানঘর দখল করে নেয়। সমস্যা সৃষ্টি হলে বিদেশ থেকে বাধ্য হয়ে ভাগনার কাছে দোকানঘর ভাড়া দিয়ে বাঁকিতে১৫ লাখ টাকা মালামাল বিক্রয় করে দেন। এখন পযন্ত দোকানের ভাড়া ও ১৫ লাখ টাকা ফেরত দেয়নি। ভোক্তভোগী মিঠু বলেন, ছোটবোন সানজিদা রহমান রিক্তা আমার স্ত্রীর ৬ মাসের মধ্যে বেতন হবে এমন আশ্বাস দিয়ে মােহনপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়ােগ প্রদান করেন। তারপর উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে না জানিয়ে প্রায় ৩২ জনকে নিয়োগ দিয়ে ব্যাণিজ্য করতে থাকেন ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা রহমান রিক্তা। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ভাইস চেয়ারম্যান রিক্তা। উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকিসহ বাড়ি জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে গত ২৬ জুন মালামালের ১৫ লাখ টাকা ও দোকানঘরের ভাড়া না দেওয়ায় দোকানঘরটি ফেরত নিতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং ৮০ টাকা মূল্যের ৩টি মােবাইল ফোন ভাংচুর করেন।
মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আপন ভাই-বোনের। সানজিদা রহমান রিক্তা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাই বিষয়টি মিমাংসা চেষ্টা করা হচ্ছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা রহমান রিক্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার ও ভাগনার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে যেসকল অভিযোগ করা হয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি একজন নিবাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আমার মানক্ষুন্ন করা জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
Posted ৭:৫৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।