শেখ সাইফুল ইসলাম কবির : | বুধবার, ১১ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকারের সামাজিক বেষ্টনি প্রকল্পের আওতায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী দৈবজ্ঞহাটী ও তেলিগাতি ইউনিয়নের ৫৪৩ সুবিধাভোগীর ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের প্রাপ্ত ভাতার টাকা দৈবজ্ঞহাটীর কৃষি ব্যাংক শাখার কর্তৃপক্ষ ও সমাজ সেবা কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় ঝুলে রয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তা বলছেন সমাজ সেবা অফিস থেকে তালিকা পাঠাতে বিলম্ব করেছে। সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ও তেলিগাতি ইউনিয়নের ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে দৈবজ্ঞহাটীর দুইশ’ প্রতিবন্ধীর আওতায় সুবিধাভোগী, ৬৮ বিধবা ও বয়স্ক ভাতার ৬৩ মোট ৩৩১ জন এবং তেলিগাতি ইউনিয়নে ২১২ জন বয়স্ক ভাতা বিধবা ও প্রতিবন্ধীর সুবিধাভোগী তাদের বরাদ্ধকৃত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এ ৬ মাসের জনপ্রতি প্রতিবন্ধী ৪ হাজার ৫শ’ টাকা, বিধবা ৩ হাজার ও বয়স্ক ভাতা ৩ হাজার প্রাপ্ত সুবিধা টাকা পেতে বছরের পর বছর ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। যদিও পরবর্তীতে বছরে ২০২০-২১ অর্থ বছরের এ সুবিধাভোগীরা জিটুপির এ উপজেলায় (ব্যাংক এশিয়া’র) মাধ্যমে নিজ নিজ একাউন্ট থেকে তাদের প্রাপ্ত টাকা তুলতে পেরেছে। কথা হয় দৈবজ্ঞহাটীর প্রাপ্ত টাকা না পাওয়ার সুবিধাভোগী বিউটি বেগম, সকিনা বেগম, মোজাম সরদার, প্রতিবন্দী ওয়ালিউর রহমান। তেলিগাতি ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী হারুন অর রশীদ খলিফা, রুস্তুম আলী শেখ, স্বামী পরিত্যক্ত আম্বিয়া বেগম, রানি বেগম, বয়স্ক ভাতার সোহরাফ দিহিদার ও সাহাবুদ্দিন শেখ বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বরদের কাছে একাধিকবার হেটেও কবে টাকা পাবে তার কোন সুরহা পাইনি।
তেলিগাতি ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তার বলেন, দৈবজ্ঞহাটী কৃষি ব্যাংকে একাধিকবার প্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের তালিকা কপি অফিস কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন। তার পরেও টাকা দিচ্ছেন না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ইতোপূর্বে দায়িত্বরত সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে দিয়েও ব্যাংক ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।দৈবজ্ঞহাটী ইউপি (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান পারুল বেগম বলেন, তার ইউনিয়নে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী সুবিধাভোগীরা ইতোপূর্বে দৈবজ্ঞহাটী কৃষি ব্যাংকের আওতাধীন ছিলেন ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের প্রাপ্ত টাকা এখনও তারা পায়নী। ব্যাংক ম্যানেজারকে একাধিকবার এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সমাজ সেবা কর্মকর্তা অতিস সরদার বলেন, ইতোপূর্বে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা বিষয়টি স্পস্ট বলতে পারবেন। তিনি এ বিষয়ে অবহিত নন।দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নে কৃষি ব্যাংক শাখার ম্যানেজার কাজী মিরাজুল ইসলাম বলেন, তার ব্যাংকে জনবল কম থাকায়, সরকারি ছুটি, লকডাউন এ ছাড়াও সমাজ সেবা অফিস থেকে প্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের তালিকা পাঠাতে অনেকটাই বিলম্ব করেছেন। তবে শ্রীঘ্রই ভাতাভোগীরা তাদের ভাতার টাকা পেয়ে যাচ্ছেন।
Posted ৪:২৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১১ আগস্ট ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।