বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) জামে মসজিদ নামে নির্মাণাধীন এই মসজিদটি শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের বাদাপাড়া গ্রামে অবস্থিত।মোঘল স্থাপত্য শৈলীর আদলে নির্মাণাধীন মসজিদটির নির্মাণশৈলী ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে সকলের।
বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের জন্মস্থানে, তারই নির্দেশিত জায়গায় ২০২০ সালের শেষের দিকে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে বর্তমানে প্রায় শেষের দিকে।কিন্তু, ইতিমধ্যেই মসজিদটির দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন স্থানীয়দের পাশাপাশি ছুটে আসছেন বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ ও দর্শনার্থী।এই মসজিদের ভেন্টিলেশন ও বাস্তু ব্যবস্থাপনা অনেকটা অটোম্যান সম্রাজ্যের মসজিদ-এ-মেহরিনার আদলে তৈরী করা হচ্ছে| মসজিদটির একটি অনন্য সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বাহিরের তাপমাত্রা যতই থাকুকনা কেন, মসজিদের ভিতরে তাপমাত্রা
৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশী হবে না।উল্লেখ্য যে, মসজিদটির নির্মাণ কাজ চুক্তি ভিত্তিক ভাবে করছেন, কাঠামো নির্মাতা লিমিটেড নামক একটি দেশীয় প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদটির নির্মাণব্যয় সমূহের অর্থায়ন করছেন, বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) এর কনিষ্ঠ পুত্র ও জাকের পার্টির মহামান্য চেয়ারম্যান পীরজাদা আলহাজ্ব খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মোজাদ্দেদী
কাঠামো নির্মাতা লিমিটেড এর সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাত মাস ধরে এই মসজিদের কাজ চলমান। প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা কাঠামো নির্মাণ এবং সৌন্দর্য্য বর্ধন ব্যয় মিলে প্রায় ১০ দশ কোটি টাকা ব্যয় হিসেবে মোঘল স্থাপত্য শৈলীর আদলে একতল বিশিষ্ট এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন তারা।অনন্য স্থাপত্য শৈলীর আদলে নির্মাণাধীন এই মসজিদটির উচ্চতা ২০ ফুট এবং মূল মসজিদের আয়তন হল ৪ হাজার স্কয়ার ফুট, এটিতে রয়েছে ৫টি গম্বুজ ও ৪ টি মিনার। একই রকম কারুকার্য ও স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি হচ্ছে ৫টি গম্বুজ ও মিনার ৪ টি। তবে, ৫টি গম্বুজের মধ্যে ৪ টি ছোট, ১টি বড় এবং ৪ টি মিনারের উচ্চতা প্রায় ১০০ ফুট।আকর্ষণীয় এই মসজিদটি চারপাশ থেকে দেখতে একই রকম মনে হবে। মসজিদটিতে মোট ১৩ টি দরজা ও ১২ টি জানালা রয়েছে। এর ভিতর প্রবেশ করলে দেখা যাবে দৃষ্টি নন্দন সব ইসলামী স্থাপত্যের নকশা ও কারুকার্য।
১৩ টি দরজা তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ দুবাই ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহীত হবে এবং ১২ টি জানালার নকশা ও কারুকার্য কংক্রিট ও কাঠের সংমিশ্রণে তৈরি হচ্ছে।মসজিদের সম্পূর্ণ মেহরাবটি দুবাই থেকে আমদানিকৃত কাঠের তৈরী দৃষ্টি নন্দন সব নকশা ও কারুকার্য দিয়ে তৈরী হচ্ছে এবং মসজিদের টাইলসগুলো ইতালি ও জার্মানি থেকে আমদানি করে লাগানো হবে।
বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের বড় ভাই, মাওলানা আলতাফ হোসেন নকশবন্দী মুজাদ্দেদী’র পৌত্র ও শেরপুর জেলা জাকের পার্টির সভাপতি, খাজা শ্যামল জানান, ১৯৯৬ সালে বিশ্বওলি খাজাবাবা ফরিদপুরী( কুঃছেঃআঃ)
ছাহেব নিজ হাতে এই মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।প্রায় দুই যুগ পর এই মসজিদটি নির্মাণ হওয়ার ফলে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ শেরপুরবাসী খুবই উৎফুল্ল এবং আনন্দিত।