সোমবার ৭ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্তেও প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে বসতে দিচ্ছেন না বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক কর্মচারী।

 দিনাজপুর, প্রতিনিধিঃ   |   সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২   |   প্রিন্ট

মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্তেও প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে বসতে দিচ্ছেন না বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক কর্মচারী।

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুমিনুল ইসলামকে অবৈধভাবে বরখাস্ত করার প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষকের পক্ষে অধিকার বঞ্চিত অভিভাবক সহকারী জজ আদালত মামলা করলে আদালত প্রধান শিক্ষকের পক্ষে রায় প্রদান করেন, প্রতিপক্ষ জজ আদালতে আপিল করলে জজ আদালত পুর্বের রায় কে বহাল ও সুদৃঢ় করেন। প্রতিপক্ষ রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে মহামান্য হাইকোর্ট আপিল করেন। মহামান্য হাইকোর্ট প্রতিপক্ষের আপিল খারিজ করে দেন এবং দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডকে বিসয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দিয়ে চিঠি প্রদান করেন। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা পেয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড দৌলতপুর ইউনিয়ন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ও প্রতিপক্ষ কে ডেকে বিসয়টি মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক নিষ্পত্তি ও মিমাংসা করে দেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে বসতে দেননা ও বিল উত্তলন করতে দেননা। অদ্যাবধি এমতাবস্থায় চলছে। আবার তারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সহ বিভিন্ন অফিসে বলেন যে, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেন না। প্রধানশিক্ষক বার বার বিদ্যালয়ে আসলে তারা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ সহ বাকবিতন্ডা করেন। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতা চাইলে সহ প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক গন হাজিরা খাতা সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুকিয়ে রেখে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। সর্বশেষ গত ০২/০৩/২০২২ ইং তারিখে ফুলবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দুই পক্ষকে ডেকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আদালতের রায় ও নির্দেশনা এবং শিক্ষা বোর্ডের নিষ্পত্তির চিঠি দেখেন ও দুই পক্ষকে নিয়ে আলাপ আলোচনার পর প্রধান শিক্ষক কে বিদ্যালয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। প্রেক্ষিতে গত ০৫/০৩/২০২২ ইং তাং রোজ শনিবার প্রধানশিক্ষক মুমিনুল ইসলাম দিনাজপুর ও ফুলবাড়ি হতে কয়েকজন সাংবাদিক সহ বিদ্যালয়ে আসলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজার রহমান,সহকারী শিক্ষক মোঃ আঃ মজিদ, মোঃ সোবহান,মোঃগোলাম মোস্তফা, মোঃ বেলাল হোসেন,মোঃ বদিউজ্জামান,সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ তাসনিমা হাবিব ও অফিস পিয়ন মোঃ মশিউর উপস্থিত সাংবাদিকগনের সামনে প্রধানশিক্ষক মুমিনুল ইসলামের সঙ্গে চরম বাকবিতন্ডা ও অশালিন আচরণ শুরু করেন। এমনকি তারা বলেন হাইকোর্টের অবৈধ ভুয়া নির্দেশ আমরা মানিনা। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা করেননা এমন বাক্য বলার সাহস পায় কোথায় অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন এটাই সচেতন জনগনের প্রশ্ন।এ বিষয়টি দিনাজপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম সাহেবের নিকট জানানো হয়।

Facebook Comments Box

Posted ১:০৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১০ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins