বুধবার ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

>>

মনোহরদীতে ফসলী জমি রক্ষায় কৃষকদের মানববন্ধন

 মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধিঃ   |   শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১   |   প্রিন্ট

মনোহরদীতে ফসলী জমি রক্ষায় কৃষকদের মানববন্ধন

মনোহরদীতে ফসলী জমি রক্ষায় কৃষকদের মানববন্ধন


নরসিংদীর মনোহরদীতে নদীর পাড়ের ফসলী জমি রক্ষায় মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকশ কৃষক। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরগোহালবাড়ীয়া এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, আড়িয়াল খাঁ নদীর নাব্যতা ফেরাতে নদী খননের কাজ শুরু হয়েছে। চরগোহালবাড়িয়া এলাকায় কয়েকশ মানুষ নদীর চরে তাদের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসলেও নদী খননের বালু ফসলি জমিতে ফেলায় ফসল নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া নদীর পাশের জমিতে ধান, কলা পেঁয়াজ, আলু, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ, শসাসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে ওই এলাকার কৃষকেরা তাদের সংসার চালান। এ দিকে আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে উত্তোলন করা মাটি জনস্বার্থে না দিয়ে কতিপয় ব্যক্তি স্বার্থে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভূমি মালিক ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. হারুন মিয়া, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন, ভূমি মালিক, সবুজ মিয়া, তুষার হোসেন, ফোরকান বেগম প্রমুখ। ক্ষতিগ্রস্থ ফোরকান বেগম বলেন, পাশর্^বর্তী কটিয়াদী উপজেলার ফাইজুল গনি মনির এবং তাপস রাতের আধারে আমাদের ফসলী জমিতে মাটি ফেলছে। তাদেরকে বাঁধা দিলে দলবল নিয়ে এসে আমাদেরকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকী দিচ্ছে। এসব বিষয়ে নদী খনন প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। ভূমি মালিক সবুজ মিয়া বলেন, ‘নদীর চরে ব্যক্তিমালিকানাধীন আমাদের প্রায় একশ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে নদী খননের মাধ্যমে যে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে, সেই বালি আমাদের ফসলী জমির উপর ফেলায় আমরা হুমকির মুখে পড়েছি। যদি এভাবে বালি ফেলে আমার ফসল নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমার পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’ ইউপি সদস্য মো. হারুন মিয়া বলেন, ‘আমাদের এখানে বেশিরভাগ মানুষ এই জমিতে আবাদ করে সংসার চালান। আমরা চাই এসব অসহায় মানুষদের জমিতে যেন আর বালু না ফেলা হয়। নদীর পাড়ে বালু ফেলার অনেক জায়গা রয়েছে। সেখানে পরিকল্পনার মাধ্যমে বালি ফেলা হোক।’ মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম কাসেম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে।’

Facebook Comments Box

Posted ৫:১৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১১ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬, ০২ ৪১০৫০৫৯৮

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com

nilüfer escort coin master free spins