শেরপুর নকলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভা করেছেন উপজেলার ৯ নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান। সোমবার ( ১লা নভেম্বর) বিকেলে চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চরমধুয়া আদর্শ বিদ্যা নিকেতন মাঠে এ সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আ’লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী মোখলেছুর রহমান বলেন, আগামী ২৮ নভেম্বর নকলা উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ মতে যারা জনমতে এগিয়ে থাকবে এবং ক্লিন ইমেজ তারাই মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। গত দুইবারের চেয়ারম্যানকেই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আমার ৬৩ বছরের জীবনে আওয়ামীলেগর জন্য যতটুকু করার করেছি। আমার কাছে এখন মনে হয় রাজনীতির নীতি শব্দটা অর্থের নিচে চাপা পরে গেছে। আমার যদি প্রচুর অর্থ থাকতো তাহলে আজকে নৌকা প্রতীক আমার থাকতো। সততার সাথে কাজ করেও আমি পাইনি নৌকা প্রতীক। আজ আমার সারা জীবনের শ্রম সব কিছূ অর্থের নিচে চাপা পরে গেছে। ভোট কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ ছিদ্দিকী এখনও নিতে পারেনি, নিয়েছে শুধু নৌকা প্রতীক। প্রতীকে ভোট নিয়ে যাবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। তিনি আরো বলেন, আমি করোনাকালীন ও বন্যা পরবর্তীতে সময়ে সরকার প্রধানের নির্দেশে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এলাকার ৮০ ভাগ মানুষ আমাকে সমর্থন করে। আমি পূর্বেও কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নৌকার পক্ষে কাজ করেছি। এছাড়া আমি বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান গেন্দু বলেন, যুদ্ধাপরাধীর পরিবারে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ায় এই উইনিয়নে নৈাকার ভরাডুবি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে ।আওয়ামীলীগের সমর্থিত ভোটারা মেনে নিতে পারছেন না। অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন পেয়েছেন এমনটা্ অভিযোগ উঠে এসছে, এ কথার জবাবে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া বর্তমান চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ ছিদ্কিী বলেন, আমি অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন পাইনি। আমি কোথায় টাকা দিবো? প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এসব বনোয়াট মিথ্যে ও ভিত্তিহীন কথা