ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বাসায় ঢুকে মাকে মারধর করে মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা ওই মেয়ে ও মাকে উদ্ধার করেছেন। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিকে মিলি আক্তারের মা শাহানাজ বেগম নিজ বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত জহিরুল ইসলাম ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জামিরদিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। এর আগে সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ভালুকা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে মো. জীবন মিয়ার বাসায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের জামিরদিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে মিলি আক্তারের ও তার মেয়েকে একই এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে জহিরুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। এই ভয়ে ভালুকা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জীবন মিয়ার পঞ্চম তলা মিলি আক্তার ও তার মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে জহিরুল ইসলাম ও তার সঙ্গে আরও কয়েকজনকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ভাড়া বাসায় ঢুকে মিলি আক্তারকে মুখে টেপ লাগিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে গান বাজিয়ে মাকে মারধর করে তার মেয়েকে জোরপূর্বক ভাবে উঠিয়ে নিতে চেষ্টা চালায়। এ সময় মা ও মেয়ের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা অপহরণকারীদের ধাওয়া করে ওই মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয় এবং জহিরুলের সঙ্গে থাকা তারা পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় একজনকে আটক করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভালুকা মডেল থানার এসআই মো. রোমান খান ও এএসআই শাহানুর আলম পুলিশের একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জহিরুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি ওই মেয়ের মা মোছা. মিলি আক্তার নিজে বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার এসআই মো. রোমান খান বলেন, এ ঘটনায় মিলির মা নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আসামিকে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।