ময়মনসিংহের ভালুকার ১০নং হবিরবাড়ী ইউনিয়নের সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত মেধাবী ছাত্র শামিমের চিকিৎসার সহায়তা বাবদ ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে সহায়তা করলেন ভালুকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুন।
জানা যায় শামিম সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পায়। জরুরী অপারেশন ও প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়।আর শামিমের সম্পূর্ণ সুস্থ হতে অনেক টাকার প্রয়োজন।যাহা একজন হতদরিদ্র পিতার পক্ষে বহন করা খুবই কষ্টকর।
শামিমের এই খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ভালুকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুনের নজরে আসে। ২৩ জুন মঙ্গলবার সকালে শামিমের পিতাকে ডেকে এনে তার হাতে নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে সহযোগিতা করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে শামিমের বাবা হারুন বলেন,ভালুকার ইউএনও স্যারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।তিনি আরও বলেন,আমি একজন অটোরিকশাচালক। ছেলের চিকিৎসার জন্য অটোরিকশাটি বিক্রি করে দিয়েছি এখন আমার ছেলের চিকিৎসা আর সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।শামিমের চিকিৎসার জন্য এখন আরও প্রায় এক লক্ষ টাকার প্রয়োজন। যাহা আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এজন্য সমাজের বিত্তবান সহ সকলের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাই।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি আমি জানতে পারি। যা দেখে আমি খুবই মর্মাহত হই। একটা মেধাবী ছেলের জীবন এভাবে নষ্ট হতে পারেনা, তাই আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আমার সাধ্যমত সহযোগিতা করেছি।প্রয়োজনে আরও সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।আশা করি ভালুকার বিত্তবানরা শামিম কে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসবেন।