
নাসির উদ্দিন | মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | প্রিন্ট
ব্রি উদ্ভাবিত “প্রাইস ট্রান্সপ্লান্টার কাম ফার্টিলাইজার অ্যাপ্লিকেটর” প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোপণের খরচ ২০-২৫% কমানো বানের ফলন ১০-১৫টি পর্যন্ত বাড়ানো সরব। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল ২০২৫) বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিয়ট (ব্রি) যদর নপ্তরে ‘ভ্যালিডেশন অ্যান্ড আগস্কেলিং অব রাইস ট্রান্সপ্লান্টিং অ্যান্ড হারভেস্টিং টেকনোলজিস ইন ন্য সিলেক্টেড লাইটগ অব বাংলাদেশ (ভিআরটিএইচবি)’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়। কেজিএফ (কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন) বিকেজিইটি (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা এন্ডাটমেন্ট ট্রাস্ট) এর অর্থায়নে ড্রির ফার্ম মেশিনারি এন্ড পোস্ট হারভেসী টেকনোলজি (এফএমপিএইচটি) বিভাগ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।
ব্রির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান সভাপতিত্বে ট্রেনিং কমপ্লেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. নাজমুন নাহার করিম, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নাধু গ্রাম সরকার, ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা। ড. মুন্নুজান খানম, ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়ার স্পেশালিস্ট (জলবায়ু ও প্রাকৃতিক সম্পাদ) ড. মো. মনোয়ার করিম খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রির এফএমপিএইচটি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান ড. মো. দুররুল হুদা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভিআরটিএইচবি প্রকল্পের প্রধান গবেষক এবং এফএমপিএইচটি বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কর্মকর্তা ড. মো. আনোয়ার
কর্মশালায় প্রকল্পের গবেষক ড. আনোয়ার হোসেন জানান, ব্রি উদ্ভাবিত “রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ফার্টিলাইজায় অ্যাপ্লিকেটর” প্রযুক্তির মাধ্যমে তিন বছরের ব্যবধানে হবিগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মেওসুমে মোট ১৮টি মাঠ পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, মাটির গন্ধীরে ২০-৩০% পর্যন্ত কম ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে যন্ত্রচালিত রোপণ পদ্ধতিতে ব্যদের অদন সর্বোচ্চ পাওয়া যায়। পাশাপাশি, এই প্রযুক্তির কণে রোপণের খরচ ২০-২৫টি কমানো এবং খানের ফলন ১০-১৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি সম্ভব। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, মেশিনের মাধ্যমে মাটির গভীরে যার প্রয়োগ করে নাইট্রোজেনের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব, যা পরিবেশগত দিক থেকেও টেকসই। যন্ত্রটির মাঠ দক্ষতা জমি কেনে ৫০% থেকে ৮১% পর্যন্ত পাওয়া গেছে, যা ধানের চাছে সময় ও শ্রমের সাহয়ে কার্যকর। সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া সেছে ৮০% ইউরিয়া সার মাটির গভীরে প্রয়োগের ক্ষেত্রে, যেখানে বিদিআর (লাভ-বায় অনুপাত) ১.৭৮ পর্যন্ত পাওয়া যেছে। অন্যদিকে, উক্ত প্রকল্পের আওয়ায় গাজীপুরস্থ ব্রি সদর দপ্তরে পরিচালিত এক গবেষণায় প্রমাণিত রয়েছে, ম্যাট টাইপ চারা উৎপাদনে ১০০-১১০ গ্রাম/টে বীজ ব্যবহত করলে হাইব্রিড খানে চারা সবল হয় ও বন্ত্রচালিত রোপণে হিল ফিসিং অনেক কম হয়।
প্রধান গবেষক আরও জানান, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচটি মওসুমে মোট ২২টি মাঠ পরীক্ষায় Yanmar, Kubota, Zoomlion, Lovol, Marksan, Daedong সহ মোট আটটি ব্র্যান্ডের হেড-ফিড ও হোল-ফিড কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন পরীক্ষা করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, হেড-ভিড বারভেস্টাবে গানের ফলনোত্তর অপচয় (০.৭৫%) হোল-ফিড প্রদাইন হারভেস্টারের (১.১৭%) তুলনায় তবে অদাইন হারভেস্টার মেশিন অবির গতিতে চালালে খানের
অপচয় সর্বোচ্চ ৫.১৮% পর্যন্ত পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, জমির দৈর্ঘ্য ৫০-৬০ মিটার বা তা অধিক হলে যন্ত্রের কার্যক্ষমতা অনেক বেড়ে চালকের দক্ষরং, চালানোর সময় গতি, খানের ঘনত্ব, কর্তনের উচ্চতা ইত্যাদি মেশিনের কার্যক্ষমতা এবং দক্ষতার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কম্বাইন হারকেন্টারের ব্যবহার কৃষকের শ্রমনির্ভরাতা এবং খরচ ৪০-৫০% পর্যন্ত, হ্রাস করা সম্ভব। মূল প্রবন্ধে আরও জানানো হয়, আগাছা নিয়ন্ত্রণে খ্রি. উদ্ভাবিত মাল্টিরো পাওয়ায় উইডায় যন্ত্রের মাধ্যমে ১৬টি ট্রায়াশ পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৮৯.২২% পর্যন্ত আগাছা দমনে সক্ষমতা অর্জন কয়েছে যন্ত্রটি। এই যন্ত্রের মাধ্যমে মওসুমহেসে হেক্টর প্রতি গড়ে হয় থেকে দশ হাজার টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।
কর্মশালায় ব্রির বিভাগীয় প্রধানগণ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কেজিএফ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিআরসির প্রতিনিধিবৃন্দ, কৃষক প্রতিনিধি, কৃষি যন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধ উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাপশন। ১৫এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সদর দপ্তরে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়
Posted ৫:২৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।