মোঃ নিজাম উদ্দিন নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১ | পড়া হয়েছে 110 বার
দেশের শিল্প জগতের পুরোধা ব্যক যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাবুলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ব্রাহ্মবাড়িয়ায় পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দৈনিক যুগান্তরের ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলা স্টাফ রিপোর্টার সাব্বির আহমেদ সুবীরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় মোহাম্মদী (সা:) এতিমখানায় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া, কোরআন খতম ও ভোজের আয়োজন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাভিশন টিভির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদী (সা:) এতিমখানার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো: রায়খান উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ মো: মোজাম্মেল হক, হেফজ শাখার প্রধান হাফেজ মাওলানা আবুল কাশেম। আলোচনায় বক্তারা বলেন, গত বছরের এই দিনে আমাদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেছেন তিনি। আমরা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় আজ তাকে স্মরণ করছি। তার মৃত্যু দেশের শিল্প ও সেবা খাতের জন্য একটি বিরাট দুঃসংবাদ বয়ে এনেছিলো। দেশ যখন করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার লড়াইয়ে নিমজ্জিত, তখন করোনায় আক্রান্ত হয়েই তিনি চলে যান সবাইকে ছেড়ে। এটি দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। নুরুল ইসলাম বাবুলের সবচেয়ে বড় অবদান হলো, তিনি অনেকগুলো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে কেবল দেশের অর্থনীতির ভিতকেই সুদৃঢ় করেননি, একই সঙ্গে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। বর্তমানে লক্ষাধিক মানুষ কর্মরত আছেন যমুনা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সেদিক থেকে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অনন্য। শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি ব্যবসার সব নিয়ম-কানুন ও শৃঙ্খলা মেনে চলেছেন। নিয়মের বাইরে একচুলও যাননি, সব প্রতিষ্ঠান নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনা করেছেন। অর্থনীতির ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক উভয় ক্ষেত্রেই রয়েছে তার বিশেষ অবদান। নুরুল ইসলাম বাবুল ছিলেন আধুনিক চিন্তার একজন সাহসী উদ্যোক্তা। তিনি ১৯৭৪ সালে যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। এ গ্রুপে রয়েছে মোট ৪১টি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন একজন সফল স্বপ্নচারী মানুষ। নিজের উদ্ভাবনী চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিতে সচেষ্ট ছিলেন তিনি। এশিয়ার সবচেয়ে বড় শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক এবং নির্মাণাধীন মেরিয়টস হোটেল এর জলন্ত উদাহরণ। দেশের শিল্প ও সেবা খাতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যমুনা গ্রুপ। ইলেট্রনিক্স, বস্ত্র, ওভেন গার্মেন্টস, রাসায়নিক, চামড়া, মোটরসাইকেল, বেভারেজ টয়লেট্রিজ, নির্মাণ ও আবাসন খাতের ব্যবসায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই গ্রুপ। দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনেরও প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম। নুরুল ইসলাম বাবুল সৎ ও নীতির প্রতি ছিলেন একনিষ্ঠ। শুধু শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রেই নয়; সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি-সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন দুর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। দৈনিক যুগান্তরকে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘সত্যের সন্ধানে নির্ভীক’ একটি সংবাদপত্র হিসেবে। সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছে যুগান্তর। এ ক্ষেত্রে তিনি সাংবাদিকদের সব ধরনের প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালনে উৎসাহ দিয়েছেন। শুরু থেকে এ পর্যন্ত যুগান্তর সেই নীতিতেই অটল রয়েছে। যুগান্তরের মতো বস্তুনিষ্ঠ খবর ও বলিষ্ঠ মতপ্রকাশে সাহসী ভূমিকা পালন করে আসছে গ্রুপের অন্য একটি প্রতিষ্ঠান যমুনা টেলিভিশনও। দেশের শিল্প ও সেবা খাতে নুরুল ইসলাম বাবুল যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন, সেজন্য তিনি আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। প্রেরক মোঃ নিজাম উদ্দিন নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel