মনিরুজ্জামান মনির, স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া : | সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ | পড়া হয়েছে 56 বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভাটি অঞ্চল নামে খ্যাত গোয়ালনগর ইউনিয়নের রামপুর ও নোয়াগাওয়ে ভুট্রার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
রামপুর গ্রামের কৃষক আমিরুল হক একশ বিঘা জমিতে,নোয়াগাওয়ের ভজন দাস ২৫ বিঘা, বল্টু মেম্বার ৫ বিঘা, দুলাল মিয়া ৫ বিঘা জমিতে ভুট্রার চাষ করেছে। তারা জানায় আগে তারা এ জমি গুলোতে বাদাম আর ধান চাষ করতেন। তখন তারা তেমন লাভবান হতে পারেনি। প্রতিবিঘা জমির ফসল বিক্রি করে বছরে চার পাঁচ হাজার টাকা লাভবান হতেন। এবার ভুট্রা বিক্রি করে বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভবান হবেন বলে ধারনা করছেন।
কৃষক আমিরুল হক জানায়, তিনি গত বছর মহামান্য রাষ্ট্রপতির এলাকা অষ্টগ্রামে বেড়াতে যান।সেখানে গিয়ে ভুট্রার বাম্পার ফলন দেখে ভুট্রাচাষের প্রতি তার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তখন তিনি ওই এলাকার একজন ভুট্রাচাষীকে খুজে বের করে তার কাছ থেকে ভুট্রার চাষ পদ্বতি সম্পর্কে জেনে স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে জেনে এবার একশ বিঘা জমিতে ভুট্রাচাষ করেন। কৃষক আমিরুল জানান তার একশ বিঘা জমি চাষ করতে এ পর্যন্ত প্রায় দশ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, ভুট্রা একটি লাভজনক ফসল। ওই এলাকার মাটি ভুট্রাচাষের উপযোগী। এ বছর এই এলাকায় প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে ভুট্রার চাষ হয়েছে। আশা করি আগামী বছর ওই এলাকার এক বিঘা জমিও খালি থাকবে না। সব জমিতেই ভুট্রার চাষ হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা বলেন ভুট্রা একটি লাভ জনক ও দানাধার ফসলের মাঝে তৃতীয় সারির ফসল। কৃষক আমিরুলকে কৃষি অফিস থেকে যাবতীয় সহযোগিতা দেয়া হবে। তিনি বলেন প্রতিবিঘা জমিতে প্রায় ৩০ মন ভুট্টা উৎপাদন হবে। প্রতি মন এক হাজার টাকা ধরে বিক্রি হলেও প্রতিবিঘা জমি থেকে ত্রিশ হাজার টাকার ফসল বিক্রি হবে। তাতে কৃষকের প্রতি বিঘার খরচ বাদেও বিশ হাজার টাকা লাভ থাকবে।তার ধারনা মতে একশ বিঘা জমিতে দশ লক্ষ টাকা খরচ হলে ও তার বিশ লক্ষ টাকা লাভ আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel