খন্দকার জসিম উদ্দিন | শনিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
শেরপুর নকলায় ব্রহ্মপুত্র নদের অনবরত ভাঙনে বসতভিটা ও আবাদি জমি হারিয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন হচ্ছে শত শত পরিবার।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: এমদাদুল হক জানিয়েছেন, ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকাণ্ড চলছে। ৩০০ মিটার এবং পরবর্তীতে আরও ২০০ মিটার জিও ব্যাগে বালি ভর্তি করে ভাঙ্গন রোধের জন্য ঠিকাধার নিয়োগ করা হয়েছে। পানি বেশি থাকায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। নকলা উপজেলার দক্ষিণ নারায়খোলা , নারায়নকোলা ঘাট সহ ৮ নং চর অষ্টধর ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে চলছে ভাঙন।
নকলা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ বোরহান জানান গত দুই সপ্তাহেই নকলা নরায়খোলা উপজেলায় ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে অনেক পরিবার হারিয়েছে ফসলি জমি ।
তিন বছরে গৃহহীন হয়েছে তীরবর্তী পরিবারের খেটে খাওয়া অগণিত মানুষ। এপর্যন্ত প্রায় শতাধিক পরিবারের অগণিত লোকজন গৃহহীন হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ভ্রামমান মানুষ হিসেবে দিনাতিপাত করছেন।
এপর্যন্ত রাক্ষসী এ নদের গর্ভে চলে গেছে শতবর্ষী দুটি মসজিদ, দুটি কবরস্থান ও ৮ নং নারায়নখোলা দক্ষিণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অগণিত বাড়ীঘর। নদের পানিতে চলেগেছে কয়েকশ একর কৃষি আবাদি জমি।
এবছর নারায়নখোলা দক্ষিন এলাকার শতাধিক পরিবার গৃহহীন হওয়ার হুমকিতে পড়ে আছে। গত তিন বছরে এই এলাকার ২৫/৩০ টি পরিবার আজ গৃহহীন হয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন।
পাঁচ ছয়বার করে বাড়ি ভেঙ্গে সড়িয়ে নিয়েছেন এমন কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখন তাদের আর নতুন করে বাড়ী করার জায়গা জমি নেই। বর্তমানে শতাধিক পরিবারের বাড়ীঘর হুমকিতে। এখন তারা কি করবেন? কোথায় যাবেন? এমন এমন মহাচিন্তায় নির্ঘুম দিনাতিপাত করছেন হুমকিতে থাকা শতাধিক পরিবারের লোকজন।
এসব বাড়ীর অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীরা আজ আতংকিত, বন্ধ হয়ে আছে তাদের পড়ালেখা। এখনই সময় এই নদের তীর রক্ষা বাঁধ দেওয়া দরকার। তা-না হলে শতাধিক বাড়ীঘর, মসজিদ, শ্মশান, কবরস্থান, বিএডিসি’র পানি সেচ প্রকল্প ও কৃষি জমিসহ অপূরণীয় ক্ষতির কবলে পড়বে।
ভাঙনের শিকার নকলা উপজেলার ৮ নং ইউনিয়নের নারায়নখোলা খোলা দক্ষিণ গ্রামের গ্রামের ৬০ বছর বয়সী নুরু মিয়া খোলা কাগজকে বলেন, ‘জীবনে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে কতবার যে বসতভিটা হারিয়েছি তার হিসাব নেই। গত এক সপ্তাহে আমার বসতভিটার অর্ধেক ব্রহ্মপুত্রের উদরে চলে গেছে। ঝুঁকি নিয়েই ভাঙন কবলিত বসতভিটায় রয়েছি পরিবার নিয়ে। বাকি বসতভিটাটুকুও যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে। তারপর কোথায় যাব জানি না।’
Posted ৭:০৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
dainikbanglarnabokantha.com | Romazzal Hossain Robel
এ বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।