শুক্রবার ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>>

বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদা ভাই এর ৩৩-তম মৃত্যু বার্ষিকী’ তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়নের শ্রদ্ধা

মোঃ ওমর ফারুক :   |   রবিবার, ১৯ মে ২০২৪   |   প্রিন্ট

বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদা ভাই এর ৩৩-তম মৃত্যু বার্ষিকী’ তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়নের শ্রদ্ধা

মহান জাতীয় সংসদের মাননীয় চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এম,পি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সন্মানিত প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এম,পি মহোদয়ের শ্রদ্ধাভাজন পিতা,বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য, মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে,স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই) এর ৩৩-তম মৃত্যু বার্ষিকী’ তে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্মচারী ইউনিয়ন(সিবিএ) নেতারা। রোববার ১৯ মে ছিল ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাইয়ের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯১ সালের এই দিনে পঞ্চম জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদা ভাইয়ের ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন এর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ.কে.এম কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়ন ফারুক আহমেদ, অর্থ সম্পাদক ফারুক হোসেন শেখ,সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী রতন বসু,দপ্তর সম্পাদক মজিবুর রহমান, কার্যকরী সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান খান।

আড়িয়াল খাঁ নদীতীরবর্তী মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বিখ্যাত জমিদার পরিবারে ১৯৩৪ সালের ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাই। তাঁর পিতা নুরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও মাতা ফাতেমা বেগম। জন্মের আগেই পিতা মারা যাওয়ায় মায়ের বিচক্ষণ শাসনে একজন আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠেন তিনি।

উল্লেখ্য, ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর মাতা চৌধুরী ফাতেমা বেগম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন। ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দত্তপাড়ার টিএন একাডেমী থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করে মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাশ করেন।

তিনি বিয়ে করেন খালাতো বোন ফিরোজা বেগম মায়া চৌধুরীকে। তাদের কোল আলো করে জন্ম নেয় সাত সন্তান। বড় ছেলে নূর-ই-আলম চৌধুরী, এমপি যিনি লিটন চৌধুরী নামে সমধিক পরিচিত। তিনি জাতীয় সংসদের ২১৮ মাদারীপুর-১ আসন তথা শিবচর থেকে সাতবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ (সেক্রেটারি, আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টি)। ছোট ছেলে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, এমপি ২১৪ ফরিদপুর-৪ ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে তার মামা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন সম্মুখ সারির একজন যোদ্ধা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন দাদাভাই। তাঁর নেতৃত্বে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী, তখন তিনি মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নানা শেখ লুৎফুর রহমান ও নানী সায়েরা খাতুনসহ শেখ পরিবারের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বাড়িতে আশ্রয় নেন। শেখ কামালসহ অন্যান্য অনেক মুক্তিযোদ্ধা এই বাড়িতে থেকেই যুদ্ধ পরিচালনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ পাক হানাদার বাহিনী দাদা ভাইয়ের বাড়িতে দু’বার অগ্নিসংযোগ করে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরষ্কারে ভূষিত হন।
মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি নারী শিক্ষার প্রসারে শিবচরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। দাদাভাই ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদে ফরিদপুর-১৩ (বিলুপ্ত) আসন থেকে ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদে মাদারীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ছিলেন তিনি।

তিনি একাধারে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তাঁর কর্মজীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় তিনি খুলনায় অতিবাহিত করেন এবং সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। তাঁর হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয় খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফুটবল ভালোবাসতেন। তিনি ফুটবল খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন এবং খেলায় সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠা করেন খুলনা আবাহনী ক্রীড়াচক্র। এছাড়াও তিনি আরামবাগ ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণ, ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের উন্নয়নসহ বাংলাদেশ একদিন উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করবে এমনই স্বপ্ন দেখতেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে।

Facebook Comments Box

Posted ১১:৪৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

dainikbanglarnabokantha.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক

রুমাজ্জল হোসেন রুবেল

বাণিজ্যিক কার্যালয় :

১৪, পুরানা পল্টন, দারুস সালাম আর্কেড, ১০ম তলা, রুম নং-১১-এ, ঢাকা-১০০০।

ফোন: ০১৭১২৮৪৫১৭৬, ০১৬১২-৮৪৫১৮৬

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

design and development by : webnewsdesign.com